হুয়েস্কার বিপক্ষে জয় জিদানের কাছে ‘ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ’
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে আগের পাঁচ ম্যাচে মাত্র এক জয়। ছিটকে যেতে হয়েছে স্প্যানিশ সুপার কোপা ও কোপা দেল রে থেকে। লা লিগার পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানের সঙ্গে দূরত্বও বেড়েছে। রিয়াল মাদ্রিদ তাই ছিল ভীষণ চাপে। হুয়েস্কার বিপক্ষেও হোঁচট খেতে বসেছিল তারা। তবে রাফায়েল ভারানের জোড়া গোলে হয় রক্ষা। স্বস্তির জয়ের পর দলটির কোচ জিনেদিন জিদানও জানালেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচার কথা।
শনিবার রাতে প্রতিপক্ষের মাঠে পিছিয়ে পড়েও ২-১ গোলে জিতেছে লা লিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। কষ্টের জয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে টপকে পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে উঠে এসেছে তারা। ২১ ম্যাচে রিয়ালের অর্জন ৪৩। এক ম্যাচ কম খেলে তিনে থাকা বার্সার পয়েন্ট ৪০। ১৯ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে হাভি গালানের গোলে এগিয়ে যায় হুয়েস্কা। ছয় মিনিট পর রিয়ালকে সমতায় ফেরান ফরাসি ডিফেন্ডার ভারানে। স্বদেশি করিম বেনজেমার ফ্রি-কিক ক্রসবারে বাধা পাওয়ার পর জটলার ভেতরে ঠাণ্ডা মাথায় হেড করে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। লস ব্লাঙ্কোসরা জয়সূচক গোলের দেখা পায় ৮৪তম মিনিটে। ডি-বক্সের ভেতর থেকে কাসেমিরোর হেড ফিরিয়ে দিলেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হন স্বাগতিক গোলরক্ষক। অরক্ষিত ভারানে খুব কাছ থেকে বল জালে পাঠান।
হুয়েস্কার বিপক্ষে ম্যাচের আগে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন জিদান। সাম্প্রতিক সময়ের ছন্দপতনে তীব্র সমালোচনা হওয়ায় ও ক্লাবে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সংবাদ সম্মেলনে মেজাজ হারিয়েছিলেন তিনি। তাই হুয়েস্কাকে হারাতে না পারলে আরও বাজে পরিস্থিতিতে পড়তে হতো তাকে। সে বাধা উতরে গিয়ে ম্যাচশেষে রিয়াল কোচ বলেছেন, ‘জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। খেলোয়াড়রা জানত যে, তাদেরকে দুর্ভোগ পোহাতে হবে, কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত বিশ্বাস রেখেছে এবং জয়টা তাদের প্রাপ্য। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু সমস্যার মুখোমুখি হওয়ায় এ ম্যাচে আমাদেরকে জিততেই হতো।’
রিয়ালের পারফরম্যান্সের দুরবস্থার অন্যতম কারণ তারকা খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতি। এডেন হ্যাজার্ড, রদ্রিগো, লুকাস ভাজকেজ, ইস্কো, ফেদেরিকো ভালভার্দে, দানি কারভাহাল ও অধিনায়ক সার্জিও রামোস ভুগছেন চোটে। তবে হাতে থাকা রসদ নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন সম্প্রতি করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা জিদান, ‘সাত-আটজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে আমরা পাচ্ছি না। আজ (শনিবার) আমরা আমাদের অধিনায়ককেও পাইনি। কিন্তু এটা অজুহাত হতে পারে না। আমরা যা করতে পারি তা হলো, আমাদের যা আছে, তা নিয়েই লড়াই করা।’
ইতোমধ্যে রামোসের বাম হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করানো হয়েছে। সেরে উঠে দলে ফিরতে তার অন্তত ছয় থেকে দশ সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানিয়েছে স্প্যানিশ গণমাধ্যম। ফলে আগামী এপ্রিলের আগে রিয়ালের তাকে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। শিষ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও জিদান ধারণা দিয়েছেন ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে, ‘রামোসের অস্ত্রোপচার করাতেই হতো। পরিস্থিতি একেবারে শেষ সীমায় পৌঁছে গিয়েছিল। অস্ত্রোপচার ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আমরা জানি, সে আগামীকাল (রবিবার) থেকে পুনর্বাসনের কাজ শুরু করবে, যেন সে যত দ্রুত সম্ভব আমাদের মধ্যে ফিরতে পারে।’
Comments