কাদের মির্জার বিরুদ্ধে নোয়াখালীতে হেফাজতের সমাবেশ আগামীকাল

abdul-kader-mirza_collected_0.jpg
আবদুল কাদের মির্জা। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই এবং নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

কোম্পানীগঞ্জের একটি ওয়াজ থেকে দুই বক্তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দের প্রতিবাদে এই সমাবেশ ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

তারা জানায়, হেফাজতে ইসলামের নোয়াখালী জেলা শাখার উদ্যোগে আগামীকাল বুধবার বিকাল ৩টায় জেলা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

সমাবেশে হেফাজতে ইসলাম ছাড়াও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক)-সহ বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নোয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি শিব্বির আহমদ।

হেফাজত সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে ওবায়দুল কাদেরের নিজ উপজেলা কোম্পানীগঞ্জের বড় রাজাপুর গ্রামের ছিদ্দিকিয়া নুরানি মাদ্রাসায় ওয়াজের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা। ওই মাহফিলে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে আবদুল কাদের মির্জা দুই বক্তা মো. ইউনুছ ও ইমরান হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরদিন তাদের ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তাদেরকে জামিনে মুক্তি দেন।

এ বিষয়ে জানতে আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

হেফাজতের নোয়াখালী জেলা সভাপতি শিব্বির আহমদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ওয়াজ থেকে দুই বক্তাকে অত্যন্ত অপমানজনক অবস্থায় ধরে নিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন আবদুল কাদের মির্জা। হেফাজতে ইসলাম সরকারের বিরুদ্ধে কোনো কাজ করছে না। এর পরেও কাদের মির্জা দুই বক্তাকে প্রকাশ্যে অপমান করেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে আমাদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।’

হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন বলেও জানান তিনি।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, হেফাজতের একটি সংবাদ সম্মেলন করার কথা। কিন্তু কোনো সমাবেশ করার কথা তার জানা নেই। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখছেন।

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম জানান, হেফাজতের সমাবেশ সম্পর্কে তিনি জানেন। বিষয়টির ওপর প্রশাসনের নজরদারি অব্যাহত আছে।

এদিকে, কাদের মির্জার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আজ মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সমাবেশে আবদুল কাদের মির্জা, খিজির হায়াত খান, নুর নবী চৌধুরী, আবুল খায়ের, আজম পাশা চৌধুরী রোমেলসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

এসময় আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান বক্তারা। নইলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন তারা।

Comments