হলে ওঠার পূর্বশর্ত টিকা নেওয়া: ঢাবি ভিসি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, শিক্ষার্থীদের হলে ওঠার ক্ষেত্রে পূর্বশর্ত হলো টিকা নিতে হবে। তবে, টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে কারো শারীরিক সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভা শেষে নিজ কার্যালয় সংলগ্ন লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ তথ্য জানান।
অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আগামী ১৭ মের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধরনের বড় (চূড়ান্ত) পরীক্ষা হবে না। ১৭ এপ্রিলের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকার প্রথম ডোজের কার্যক্রম শেষ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এবং ১৭ মে হলে ওঠার দুই সপ্তাহ পর পরীক্ষা ও স্বাভাবিক শ্রেণির কার্যক্রম নির্ধারণ করা হবে। ১৩ মার্চ আবাসিক হল খোলার এবং পরবর্তীতে চূড়ান্ত পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তা বাতিল হয়েছে।
ঢাবি ভিসি আরও বলেন, ঢাবি হলে ওঠার ক্ষেত্রে পূর্বশর্ত হলো টিকা নিতে হবে। এক্ষেত্রে যাদের শারীরিক সমস্যা আছে, চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
ফেব্রুয়ারির মধ্যেই হল খুলে দিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে ঢাবির বিভিন্ন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তানভীর আলম চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা শিগগির সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে জানাব।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলোও ১৭ মের আগে হবে না বলে জানান ঢাবি ভিসি৷ তিনি বলেন, আজ সন্ধ্যায় সাত কলেজের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামালের সঙ্গে একটি সভা হবে৷ সেখানে পরীক্ষা সংক্রান্ত আলোচনা হবে৷
এর আগে, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাবির একাডেমিক কাউন্সিল সভা শুরু হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপর এএসএম মাকসুদ কামাল এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউশনের পরিচালক, বিভাগের অধ্যাপকরা।
Comments