মুজারাব্বানির তোপ আর উইলিয়ামসের ব্যাটে জিম্বাবুয়ের দিন
দুই মিডিয়াম পেসার ব্লেসিং মুজারাব্বানি আর ভিক্টর নিয়াউচি শুরু থেকেই আঘাত হানলেন আফগানিস্তানের ইনিংসে। ইব্রাহিম জাদরান আর আফসার জাজাই ছাড়া থিতুও হতে পারেননি কেউ। আফগানদের অল্প রানে গুটিয়ে দিয়েও স্বস্তিতে থাকতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। বাঁহাতি স্পিনার আমির হামজা বারবার রাশ টেনে ধরেন জিম্বাবুয়ের। যদিও দিনশেষে দলকে লিড এনে ফিফটি করে অপরাজিত আছেন অধিনায়ক শন উইলিয়ামস।
মঙ্গলবার আবুধাবিতে প্রথম টেস্টে আগে ব্যাটিং বেছেও মাত্র ১৩১ রানে থামে আফগানিস্তান। জবাবে প্রথম দিনে ৫ উইকেটে ১৩৩ রান করেছে জিম্বাবুয়ে। ৭৮ বলে ৫৪ করে অপরাজিত আছেন উইলিয়ামস।
দিনের একদম প্রথম বলেই আব্দুল মালিককে বোল্ড করে দারুণ সূচনা আনেন মুজারব্বানি। তৃতীয় ওভারে অভিজ্ঞ রহমত শাহকেও উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান তিনি। মনির আহমেদকে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন আরেক ওপেনার ইব্রাহিম। সেই প্রতিরোধ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মনির-ইব্রাহিম দুজনকেই ছাঁটেন নিয়াউচি। ৪১ বলে ৫ চারে ৩১ আসে ইব্রাহিমের ব্যাট থেকে।
এরপর টানা উইকেট হারাতে থাকে আফগানরা। হাসমতুল্লাহ শহিদিকে বোল্ড করে দেন নিয়াউচি। অধিনায়ক আসগর আফগান মাত্র ১৩ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মুজারব্বানির বলে। তিন অঙ্কে যাওয়ার আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিক হিসেবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সিরিজ খেলা আফগানিস্তান।
দলের রান তিন অঙ্ক ছাড়িয়ে নেওয়ার বড় কৃতিত্ব কিপার ব্যাটসম্যান জাজাইর। ডোনাল্ড টিরিপানোর বলে ফেরার আগে ৭০ বলে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন তিনি।
প্রতিপক্ষকে অল্প রানে গুটিয়ে প্রথম ওভারে উইকেট হারায় জিম্বাবুয়েও। পেসার ইয়ামিন আহমেদজাইর চতুর্থ বলে বোল্ড হয়ে যান কেভিন কাসুজা। টারাসাই মাসাকাদজা, প্রিন্স মাসবুরেরাও দলের হাল ধরতে পারেননি।
এক পর্যায়ে ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল সফরকারীরা। সেখান থেকে উইলিয়ামস জুটি পান অভিজ্ঞ সিকান্দার রাজার সঙ্গে। দুজনে মিলে আনেন ৭১ রান। প্রথম উইকেট পেসারের পকেটে গেলেও জিম্বাবুয়ের ইনিংসের বাকি ৪ উইকেটই নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার আমির।
৪৩ রান করা সিকান্দারকে ফিরিয়ে গুরুত্বপূর্ণ জুটিও ভেঙ্গেছেন তিনি। অলরাউন্ডার রায়ান বার্লকে নিয়ে দিনের বাকিটা সময় পার করেন উইলিয়ামস। দ্বিতীয় দিনে ২ রানের লিডটা বড় করার দায়িত্ব তার কাঁধেই।
Comments