জাপানে সুনামির ১০ বছর, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় নিহতদের স্মরণ

জাপানের ইতিহাসে ভয়াবহ বিপর্যয়ের ১০ বছর পূর্তিতে দেশটির সরকারসহ নিহতদের স্বজনরা নানা কর্মসূচির মাধ্যমে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় প্রিয়জনদের স্মরণ করেছেন।
গতকাল ১১ মার্চ দেশটির সম্রাট নারুহিতো ও সম্রাজ্ঞী মাসাকো টোকিওতে নিহতদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান। স্বজনরা ঘটনাস্থলে এবং কেউ কেউ সমুদ্রে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪৬ মিনিটে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয় জাপানে।
২০১১ সালের ১১ মার্চ ভয়াবহ সুনামি আঘাত হেনেছিল জাপানে। সেদিন ছিল শুক্রবার অর্থাৎ সাপ্তাহিক কর্মদিবসের শেষ দিন।
নয় দশমিক তিন মাত্রার সেই ভয়াবহ ভূমিকম্পে সুনামি তৈরি হয়। এতে তছনছ হয়ে যায় ফুকুশিমার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ভেসে যায় হংসু দ্বীপ।
টোকিওর জাতীয় থিয়েটারে রাষ্ট্রীয় আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী সুগা এবং অতিথিরা দুপুর ২টা ৪৬ মিনিটে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। সুগা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এটাই ছিল তার প্রথম রাষ্ট্রীয় শোক সভায় যোগদান। তবে, করোনার কারণে শোক সভাটি সংক্ষিপ্ত এবং স্বল্পপরিসরে করা হয়।
২০১১ সালের ১১ মার্চ ভূমিকম্প, সুনামি এবং ফুকুশিমা পরমাণু চুল্লি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে অন্তত ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় এখনো কয়েক হাজার মানুষ নিখোঁজ আছেন।
এদিকে, দীর্ঘ দশ বছর পর ভয়াবহ সুনামিতে ভেসে নিখোঁজ হওয়া এক নারীর খোঁজ পাওয়া গেছে। তবে, তাকে জীবিত ফেরত না পাওয়া গেলেও তার দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ৫ মার্চ ২০২১ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে দেশটির স্থানীয় একটি গণমাধ্যম জানায়, কঙ্কালের ডিএনএর ফরেনসিক রিপোর্টের পরই তাকে চিহ্নিত করে স্বজনরা।
ওই নারীর নাম নাতোসুকু ওকাইয়ামা। তার কঙ্কালের দাঁত ও ডিএনএর ফরেনসিক পরীক্ষার পর দেহাবশেষ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Comments