সৌদিপ্রবাসীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ গ্রেপ্তার ৮

কক্সবাজারে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের পিটুনিতে আহত এক সৌদিপ্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তার স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্যালক, শ্যালিকাসহ আট জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত মঞ্জুর আলম (৪৫) কক্সবাজার সদর থানার চৌফলদণ্ডী ইউনিয়নের মৃত আবদুল গণীর ছেলে।
ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও মাইজপাড়া গ্রামে সৌদিপ্রবাসী মঞ্জুর আলমের শ্বশুরবাড়ির গেটে এ ঘটনা ঘটে। এসময় মঞ্জুরের দ্বিতীয় স্ত্রী রুনা আক্তার, শ্বশুর নুরুল আজিম, শাশুড়ি মনোয়ারা বেগম, শ্যালক মোহাম্মদ কায়েস, দুই শ্যালিকাসহ মোট নয় জন তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন।’
‘পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত মঞ্জুরকে উদ্ধার করে গতকাল বিকালে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে আজ শনিবার তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুপুর সাড়ে ১২টায় আজিজনগর নামক স্থানে তিনি মারা যান’, যোগ করেন তিনি।
এ ঘটনার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখার পর কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার তাৎক্ষণিকভাবে জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন বলেও জানান ওসি।
এ ঘটনায় মঞ্জুর আলমের বড় ভাই নয় জনকে আসামি করে গতকাল রাতে ঈদগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঞ্জুরের স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্যালক, শ্যালিকাসহ মামলার আট জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্ত এক আসামি এখনো পলাতক।
ওসি আবদুল হালিম বলেন, ‘মঞ্জুরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।’
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে বলেন, ‘মঞ্জুর দীর্ঘদিন কর্মসূত্রে সৌদি আরব ছিলেন। লকডাউনের কারণে কয়েকমাস আগে তিনি দেশে আসেন। বিদেশ থেকে আসার পর টাকা-পয়সা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়। লকডাউনের কারণে মঞ্জুরের বিদেশ যাত্রাও পিছিয়ে যায়। এ বিবাদের কারণেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।’
মামলার বাদী বদিউল আলম বলেন, ‘মঞ্জুরের টাকা ও সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
Comments