মিতু হত্যা মামলা: নিরাপত্তা চেয়ে আসামি মুসার স্ত্রীর জিডি

চট্টগ্রামে মিতু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নতুন মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার একদিন পর জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন আসামি কামরুল ইসলাম মুসার স্ত্রী পান্না আক্তার। আজ মঙ্গলবার রাঙ্গুনিয়া থানায় তিনি এ জিডি করেন।
এর আগে, গতকাল সোমবার আদালতে বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন পান্না আক্তার।
জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, ‘আমি আমার বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় জিডি করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছি। আমি ম্যাজিস্ট্রেটকে বলেছি যে, বাবুলের সোর্স ছিল মুসা। ওই হত্যাকাণ্ডের পরে মুসাকে সাদা পোশাকে কয়েকজন লোক তুলে নিয়ে যায় বলেও আমি আদালতকে বলেছি।’
তবে, আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে কেউ হুমকি দেয়নি বলে জানান তিনি।
মুসা বর্তমানে পলাতক আছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তবে তার স্ত্রী পান্না আক্তারের দাবি, ২০১৬ সালের ২২ জুন সন্ধ্যায় পুলিশ মুসা ও তার ভাই সাকুকে সাদা পোশাকে বন্দর এলাকা থেকে আটক করে। কিন্তু, পরে কেবল সাকুকেই এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পান্না আক্তারের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতে বের হওয়ার পর চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। এ ঘটনার পর তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় তিন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
হত্যার পরে মুসা আত্মগোপনে চলে যান। এরপরই তিনি পালিয়ে গেছেন বলে তদন্তকারীরা জানান।
এ বছর ১১ মে চট্টগ্রাম পিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাবুলকে তাদের কার্যালয়ে ডেকে পাঠায়। সেখানে তিনি গোয়েন্দাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি বলে জানানো হয়।
এরপর তাকে হেফাজতে নেওয়া হয় এবং এর পরদিন বাবুলকে প্রধান আসামি করে আট জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন মিতুর বাবা।
আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামে মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ
মিতু হত্যা: আদালতে জবানবন্দি দেননি বাবুল
মিতু হত্যা: নারী কর্মীর তথ্য চেয়ে ইউএনএইচসিআরকে পিবিআই'র চিঠি
Comments