সাকিবকে ছাড়া নেমে জিতল মোহামেডান

ইরফান শুক্কুরের ফিফটিতে দেড়শো পেরুনো পুঁজি পেয়েছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। রান তাড়ায় ম্যাচ জেতার পরিস্থিতি তৈরি করেছিল ওল্ড ডিওএইচএসও। কিন্তু ৩৮ বল আগে নামা বৃষ্টিতে হিসেব হয়ে যায় এলেমেলো। পরে খেলা শুরু হলেও ডি/এল মেথডে নতুন লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি ডিওএইচএস। অসদাচরণের জন্য তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকায় এই ম্যাচে মোহামেডন পায়নি তাদের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। তবু জয় হাতছাড়া হয়নি।
রোববার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে ডি/এল মেথডে ওল্ড ডিওএইচএসকে ৯ রানে হারিয়েছে শিরোপা প্রত্যাশী দলটি। আবাহনীর বিপক্ষে ঘটনাবহুল আগের ম্যাচও বৃষ্টি আইনি জিতেছিল তারা।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে ৫ উইকেটে ১৫৯ রান করেছিল মোহামেডান। ওই রান টপকাতে গিয়ে ১৩.৪ ওভারে ডিওএইচএস ১০২ রান করার পরই নামে বৃষ্টি।
ম্যাচ জিততে তখন ৩৮ বলে ৫৮ রান দরকার ছিল তাদের। বৃষ্টি থেমে খেলা শুরুর পর ১৬ ওভারে ১২৫ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ডিওএইচএসের। ১৬ ওভার খেলে তারা সংগ্রহ করে ৪ উইকেটে ১১৫ রান।
১৬০ রান তাড়া করতে গিয়ে আনিসুল ইসলাম ইমন-রাকিন আহমেদ মিলে ভালো শুরু আনলেও তারা ছিলেন কিছুটা মন্থর। ২৮ বলে ২৩ রান করা আনিসুলকে শুভাগত হোম রান আউট করলে প্রথম সাফল্য পায় মোহামেডান। খানিক পর শুভাগত বোলিংয়ের শিকার হন রাকিন। পারভেজ হোসেন ইমনের হাতে ধরে দিয়ে ফেরেন ১৭ রান করা রাকিন।
তিনে নামা মাহমুদুল হাসান জয়ই খেলা ধরে রেখেছিলেন। ১৮ বলে ২৬ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে এলবিডব্লিউ করে ফিরিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। পরে রায়হান রাফসানকে রহমানকেও ফিরিয়ে দেন শুভাগত।
মোহাইমিনুল হক ১৭ বলে ২০ করে অপরাজিত থাকলেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে ভালো শুরু পেয়েছিল মোহামেডান। তবে থিতু হয়ে ইনিংস টানতে পারেননি পারভেজ। আরেক ওপেনার আব্দুল মাজিদ ২৯ রান করলেও লাগিয়েছেন ২৯ বল। বিপাকে পড়া মোহামেডান পরে ঘুরে দাঁড়ায় ইরফানের ব্যাটে। কিপার ব্যাটসম্যান ৪২ বলে ৫ ছক্কা, ৩ চারে ৬৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে আরেক ম্যাচের ফলও হয়েছে বৃষ্টি আইনে। আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৩৭ রান করেছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। তাদের হয়ে ৩১ বলে ৪১ করেন সাব্বির রহমান। জবাবে সৈকত আলি আর নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে ডি/এল মেথডে ৭ উইকেটে জিতেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি।
মাঝে বৃষ্টিতে খেলা বন্ধের পর ১৮ ওভারে ১২৭ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় তাদের। তা পেরিয়ে শেখ জামাল জিতেছে অনায়াসে। দলের জয়ে ৩০ বলে ৪৩ করেন সৈকত। ৩০ বলে ৪০ করে অপরাজিত ছিলেন নুরুল হাসান।
Comments