ভারতে নারী পাচারকারী চক্রের ‘মূল হোতা’ নদীসহ গ্রেপ্তার ৭
ভারতে নারী পাচারকারী চক্রের ‘মূল হোতা’ নদী আক্তারসহ সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার যশোরের শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত এবং নড়াইল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হাফিজ আল ফারুক দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার সন্ধ্যায় হাতিরঝিল থানা পুলিশের একটি দল তাদের গ্রেপ্তার করে। তাদের সবাইকে ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা পাঁচটি নারী পাচার মামলার মধ্যে কমপক্ষে দুটিতে নদী আক্তারকে (৩১) আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মূল সন্দেহভাজন নদী চারটি ভাষায় কথা বলতে পারেন। পাচারকারীরা বাংলাদেশ থেকে তরুণীদের প্রলুব্ধ করার জন্য তাকে ব্যবহার করতো।
তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন যে, ২০১৭ সালে নদী নিজেও একটি চক্রের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় পাচার হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে দেশে ফিরে আসার পর সোনিয়া নামে আরেক পাচারকারীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি এবং শেষ পর্যন্ত নারী পাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।
সম্প্রতি ২২ বছর বয়সী এক বাংলাদেশী নারীকে নির্যাতন ও যৌন নিপীড়নের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর, গত ২৭ মে ভারতীয় পুলিশ বেঙ্গালুরু থেকে রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে।
এরপর বাংলাদেশ পুলিশ এ নিয়ে তদন্ত শুরু করলে একটি নারী পাচারের আন্তর্জাতিক চক্রের সন্ধান পায়। তদন্তকারীরা জানান, সোমবার গ্রেপ্তার হওয়া পাচারকারীরা সবাই একই গ্রুপের।
এ পর্যন্ত বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নারী পাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। একইসঙ্গে ভারতীয় পুলিশ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
Comments