নাঈমের কাঠগড়ায় টপ অর্ডার

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এক জ্যাক উইলসই যা করার করলেন। পাঁচ রানের বেশি করতে পারলেন না প্রথম চার ব্যাটারদের বাকি তিনজন। সবমিলিয়ে উইলসকে সঙ্গ দিতে পারলেন আর কেউই। তাতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে লড়াইটুকুও করতে পারল না চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এমন হারের জন্য টপ অর্ডার ব্যাটারদেরই দায়ী করলেন স্বাগতিক অধিনায়ক নাঈম ইসলাম।

সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কুমিল্লার কাছে ৫২ রানে হেরে গেছে চট্টগ্রাম। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুই প্রোটিয়া তারকা ফাফ দু প্লেসি ও ক্যামেরুন ডেলপোর্টের ফিফটি এবং লিটন দাসের ব্যাটে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮৩ রান করে কুমিল্লা। জবাবে জ্যাক উইলসের ফিফটির পরও ১৫ বল বাকি থাকতে ১৩১ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।

লক্ষ্যটা বড় হয়ে যাওয়ায় কাজটা শুরুতেই কঠিন হয়ে যায় চট্টগ্রামের। তবে চট্টগ্রামের উইকেট বিচারে অসম্ভব ছিল না। প্রয়োজন ছিল দারুণ সূচনা। সেখানে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। উইলস ছাড়া টপ অর্ডার ব্যর্থ। সে ধারায় ব্যর্থ মিডল অর্ডারও। গড়ে ওঠেনি বোলার মতো কোনো জুটি।

অথচ লক্ষ্য তাড়ায় দারুণ ব্যাট করেন উইলস। ৬৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। আউট হয়েছেন রানের গতি বাড়াতে গিয়ে। সঙ্গীদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা পেলে হয়তো ভিন্ন হতে পারতো ম্যাচের ফলাফল। কিন্তু এ ইংলিশ ব্যাটার ছাড়া দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন কেবল দুই জন।

ম্যাচ শেষে তাই আক্ষেপই ঝরে চট্টগ্রাম অধিনায়কের কণ্ঠে, 'আমরা প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কারণ আমরা ভেবেছিলাম যে বোলারদের জন্য উইকেটে কিছু আছে। আমরা যদি তাদের ১৬৫-১৭০ রানে আটকে রাখতে করতাম, তাহলে অন্যরকম হতে পারত। বড় স্কোর তাড়া করতে হলে শীর্ষ চার জনকে ভালো ব্যাট করতে হয়।'

Comments

The Daily Star  | English

DU JCD leader stabbed to death on campus

Shahriar Alam Shammo, 25, was the literature and publication secretary of the Sir AF Rahman Hall unit of Jatiyatabadi Chhatra Dal

5h ago