শিশু-কিশোর দর্শকদের মন জয় করল ‘আঁখি ও তার বন্ধুরা’
এ ধরনের চলচ্চিত্র শুধু কলকাতার উৎসবে তিন-চারবার দেখিয়ে দায়িত্ব শেষ করে দেওয়া ঠিক হবে না বরং রাজ্যের অন্য জেলাগুলোতেও এটি প্রদর্শন করা উচিত। কলকাতার রবীন্দ্রসদন প্রেক্ষাগৃহে আজ (২২ জানুয়ারি) বিকেলে ‘আঁখি ও তার বন্ধুরা’ চলচ্চিত্রটি দেখে এভাবেই কলকাতার অভিভাবক মৃদুল কান্তি চক্রবর্তী তাঁর প্রতিক্রিয়া জানালেন।
তাঁর কথায়, “অসাধারণ নির্মাণ। আরো শিশু-কিশোরদের এই ছবি দেখার সুযোগ করে দেওয়া হোক। এই ছবিতে যে বার্তা দেওয়া হয়েছে সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কলকাতার পাশাপাশি জেলা শহরগুলোতেও যেন সংশ্লিষ্টরা এই শিশুতোষ ছবিটি দেখার সুযোগ করে দেন।”
এছাড়াও, ১৪ বছরের তৃথা কান্তি চক্রবর্তী জানালেন, ছবিটি তার ভীষণ ভালো লেগেছে। একইভাবে নয়না রাহা, পিকু সিংহ, আরিফ সোহেলের মতো কিশোর-কিশোরী দর্শকরাও ‘আঁখি ও তার বন্ধু’ দেখে মুগ্ধ।
৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে ৩২ দেশের ২২৫ চলচ্চিত্রের মধ্যে বাংলাদেশের তিনটি ছবি দেখানো হচ্ছে। মোরশেদুল ইসলামের ‘আঁখি ও তার বন্ধুরা’ দেখানো হয় রবীন্দ্রসদন প্রেক্ষাগৃহে। স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে ছবিটি শেষ হয় ৫টা ২ মিনিটে।
বাংলাদেশি ছবিসহ বিদেশি ছয়টি ছবি নিয়ে চলচ্চিত্র উৎসবে আয়োজকদের ইতিবাচক প্রচার-প্রচারণা চলছে। উপরন্তু, ‘দীপু নাম্বার টু’-খ্যাত ওই পরিচালকের নামের সঙ্গেও পরিচিত কলকাতার মানুষ। আর সে কারণে ডিসেম্বরের শেষ দিকে বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়া ‘আঁখি ও তার বন্ধুরা’ দেখতে ভিড় করেছিলেন কলকাতার সচেতন দর্শকরা।
শিশু-কিশোর একাডেমির সচিব গৌতম গঙ্গোপাধ্যায় জানান, সোমবার সরস্বতী পূজায় সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় স্বাভাবিকের চেয়েও বাড়তি দর্শক ছিল। তাছাড়াও, মোরশেদুল ইসলাম নামি পরিচালক-নির্মাতা। তাঁর একটি নিজস্ব দর্শকও রয়েছেন কলকাতায়।
‘আঁখি ও তার বন্ধুরা’ ছাড়াও এবার দেখানো হচ্ছে বাংলাদেশের অভিনেতা-পরিচালক আফজাল হোসেনের ছোটকাকু সিরিজের ‘বকা খেয়ে বগুড়ায়’ এবং ‘রাজশাহীর রসগোল্লা’ এই দুটি ছবিও। ‘বকা খেয়ে বগুড়ায়’ আগামী ২৪ জানুয়ারি দুপুর ১২টায় আহিন্দ্র মঞ্চে এবং একই দিন শিশির মঞ্চে সন্ধ্যা ছটায় দেখানো হবে ‘রাজশাহীর রসগোল্লা’ ছবিটি।
বাংলাদেশ ছাড়াও জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ইরানসহ ৩২টি দেশ এই আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিচ্ছে। গত ১৯ জানুয়ারি কলকাতার নন্দন প্রেক্ষাগৃহে আনুষ্ঠানিকভাবে এই উৎসবের সূচনা হয়। এটি চলবে ২৭ তারিখ পর্যন্ত।
আরো পড়ুন:
Comments