আরেকটি দুর্ঘটনা, প্রাণ গেল ১৫ জনের
নাটোরের বরাইগ্রামে পাবনা-নাটোর মহাসড়কে গতকাল বাস ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন নিহত ও আরও ২০ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের সকলেই লেগুনায় ছিলেন। তাদের মধ্যে চালক ও তার সহকারীসহ দুই পরিবারের পাঁচ জন নিহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১৪ জনের লাশ রাতে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে একজনের পরিচয় নিশ্চিত না হওয়ায় লাশ হস্তান্তর হয়নি।
আজ সোমবার লালপুর থানায় লেগুনার মালিক, বাসের মালিক, চালক ও তার সহকারীসহ সাত জনের নামে মামলা করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, এ ধরনের যানবাহন মহাসড়কে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুর নূর গতকাল জানান, মহাসড়কের কদমছিলান ক্লিকমোড় এলাকায় বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বাস ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি গাড়িই চুরমার হয়ে যায়।
যে জায়গায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেটি নাটোর শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে। দুর্ঘটনাকবলিত চ্যালেঞ্জার পরিবহনের বাসটি রংপুরে ও লেগুনাটি পাবনা যাচ্ছিল। সংঘর্ষের পর বাসটি রাস্তা থেকে ছিটকে গিয়ে পাশের একটি খাদে পড়ে যায়।
খবর পেয়ে লালপুর, বনপাড়া থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ও আহতদের হাসপাতালে পাঠায়।
নিহত যে কয় জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে তারা হলেন, পাবনার মুলাডুলির আদরি বিশ্বাস (৩৫) ও তার ১০ মাসের মেয়ে স্বপ্না বিশ্বাস ও ছেলে প্রত্যয় বিশ্বাস (১২); শাপলা খাতুন (২২) ও তার ১১ মাসের মেয়ে সুরাইয়া খাতুন মাইশা; রাজাপুরের রোজুফা (৪৫) ও তার ননদ শেফালি বেগম (৪০); বড়াইগ্রামের লোবেজান বেগম (৬৫); পাকশীর আব্দুস সোবহান (৭০); নীলফামারীর সৈয়দপুরের লেগুনার চালক আব্দুর রহিম (২২) ও তার সহকারী রাজা (২০); ঈশ্বরদীর ঝরা খাতুন (৬০) ও টাঙ্গাইলের গোপালপুরের মোহাম্মদ রোকন (২২)।
পুলিশের ভাষ্যমতে, দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই ১০ জন প্রাণ হারান। তিন জন হাসপাতালে নেওয়ার পথে ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজন মারা যান।
Comments