১৫ বছর পর কলকাতার হয়ে সেঞ্চুরি ভেঙ্কাটেশের

সেটা ছিল আইপিএলের ইতিহাসের প্রথম ম্যাচ। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে আগ ব্যাটিংয়ে নেমে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্রান্ডন ম্যাককালাম। সেই প্রথমই শেষ। এরপর ১৫ বছর কেটে গেলেও কলকাতার পক্ষে কেউই তিন অঙ্ক ছুঁতে পারছিলেন না। তবে অবশেষে গেঁড়ো খুলেছে। রোববার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ভেঙ্কাটেস আইয়ার।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে এদিন ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন ভেঙ্কাটেস। ৫১ বলে ৬টি চার ৯টি ছক্কায় এ রান করেন এ ব্যাটার।
এদিন শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করে যান ভেঙ্কাটেশ। অথচ কেকেআরের বাকি ব্যাটাররা ছিলেন আসা যাওয়ার মধ্যেই। বাউন্ডারিও মারতে পারছিলেন না। তখন কেকেআরকে একাই টেনে নিয়েছেন ভেঙ্কাটেশ। ইনিংসের ১১.৪ ওভার পর্যন্ত দলের সবগুলো বাউন্ডারি মেরেছেন এ ব্যাটারই।
২৩ বলে অর্ধশতরান পূরণ করা ভেঙ্কাটেশ শেষ পর্যন্ত শতক স্পর্শ করেন ৪৯ বলে। নিখুঁত এক ইনিংসটি তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিও বটে। এদিন মাঝে কেবল একটি হাফ-চান্স দিয়েছিলেন। এছাড়া তেমন কোনো সুযোগই দেননি মুম্বাইয়ের বোলার-ফিল্ডারদের।
এর আগে ২০০৮ সালে ১৮ এপ্রিল আইপিএলের প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন ম্যাককালাম। চেন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ৭৩ বলে খেলেছিলেন অপরাজিত ১৫৮ রানের ইনিংস। এরপর গত ১৫ বছরের সেঞ্চুরির দেখা পাননি আর কোনো কেকেআর ব্যাটার। ২০১৯ সালে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন দিনেশ কার্তিক। তবে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ৯৭ রানে থামে তার ইনিংস।
সেঞ্চুরি তুলেও অবশ্য দলকে জেতাতে পারেননি ভেঙ্কাটেশ। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৫ রান তুলেছিল দলটি। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১৪ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে মুম্বাই। রোহিত শর্মা ও ইশান কিসানের ওপেনিং জুটিতেই আসে ৬৫ রান। এরপর তিলক ভর্মার সঙ্গে অধিনায়ক সুরিয়া কুমার যাদবের ৬০ রানের জুটিতে জয়ের ভিত পেয়ে যায় দলটি।
২৫ বলে সমান ৫টি করে চার ও ছক্কায় ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন ইশান। ২৫ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৩ রান করেন অধিনায়ক সুরিয়া। ৩০ রান করেন তিলক। টিম ডেভিড ২২ রানে অপরাজিত থাকেন।
Comments