শাহাদাত দিপুকে মনে ধরেছে নির্বাচকদের

ওয়েস্ট ইন্ডিজ 'এ' দলের বিপক্ষে সিরিজে বেশিরভাগ ব্যাটারই ব্যর্থ। বিশেষ করে লাল বলের মেজাজ অনুযায়ী খেলতে পারেননি জাকির হাসান, আফিফ হোসেনরা। তবে অনেকের ভিড়ে নিজেকে আলাদা করেছেন শাহাদাত হোসেন দিপু। তাকে বেশ মনে ধরেছে নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের।
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে চলমান চারদিনের ম্যাচের প্রথম ইনিংসে দলের বিপর্যয়ে একা হাল ধরেন ডানহাতি দিপু। কঠিন উইকেটে চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়তায় খেলেন ১২৪ বলে ৭৩ রানের ইনিংস।
দ্বিতীয় ইনিংসেও করেন ফিফটি। আউট হওয়ার আগে ৬৮ বলে করেন ৫০ রান। ক্যারিবিয়ান পেসারদের বাউন্স-মুভমেন্টে দেখার মতন ছিল তার টিকে থাকার নিবেদন। দুই ইনিংস দিয়েই আপাতত টেম্পারমেন্টের পরীক্ষায় পাশ মার্কস পাচ্ছেন তিনি।
সিলেটে দিপুদের ম্যাচ চলার সময় মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমে কথা বলেন হাবিবুল। সেখানে দিপুর প্রসঙ্গে বেশ উচ্ছ্বাস তার, 'তাকে দেখে গুছানো মনে হয়েছে। দীর্ঘ পরিসরে যেরকম ব্যাট করতে হয়, দিপুকে মনে হয়েছে সেরকম। খুব গুছানো, টেকনিকও খুব ভালো। ওর ব্যাটিং মুগ্ধ করার মতন।' আগের দিন সিলেটে দিপুর ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেন আরেক নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাকও।
হাবিবুলের জানান সিলেটে ব্যাটারদের পরীক্ষা করতে উইকেট রাখা হয়েছিল ঘাস। সেই পরীক্ষায় উৎরে গেছেন দিপু, 'উইকেটটা কিন্তু অত সহজ ছিল না। কারণ, সিলেটে দুই ম্যাচেই ৬ মিলি গ্রাস রেখেছি। বেশ সিমিং কন্ডিশন। এই কন্ডিশনে কে কেমন ব্যাটিং করে দেখার বিষয় ছিল। দিপু তো ভালো ব্যাটিং করছে অনেক দিন ধরেই। আমাদের প্রথম শ্রেণীতেও ভালো ব্যাট করেছে। এভাবে চালিয়ে যেতে পারলে ভালো খেলোয়াড় হতে পারে আগামীর জন্য।'
দিপু ভালো করলেও আফিফ হোসেন, জাকির হাসানদের নিয়ে হতাশা আড়াল করেননি তিনি, 'প্রত্যাশা বেশি ছিল। এই দলে কিন্তু বর্তমান (জাতীয় দলের) খেলোয়াড় আছে। তাদের কাছে চারদিনের ম্যাচে প্রত্যাশা বেশি ছিল। অবশ্যই তাদের কাছ থেকে যথেষ্ট পাইনি।'
ছুটি শেষ করে আগামী মাসের শুরুতে ফিরবেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের দল দেওয়া হতে পারে তখনই। তবে সেই দলে খুব একটা চমক থাকবে না, 'চমক বলে তেমন কিছু নেই। টেস্ট দলটা করব ডেফিনিটলি যে দলটা জিততে পারে। বেস্ট পসিবল প্লেয়ারদের নিয়ে দলটা করব।'
Comments