তাওহিদের দানবীয় সেঞ্চুরিতে জিতল কুমিল্লা

মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও সাইফ হাসানের ব্যাটে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যই ছুঁড়ে দিয়েছিল দুর্দান্ত ঢাকা। এরপর বল হাতেই দারুণ সূচনা করেছিল দলটি। কিন্তু তাওহিদ হৃদয়ের দানবীয় ব্যাটিংয়ে লড়াই করেও পারেনি তারা। এক প্রান্তে ঝড় তুলে চলতি আসরের প্রথম সেঞ্চুরিটি তুলে নেন তাওহিদ। তাতে অসাধারণ এক জয় তুলে নিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্স।

শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকাকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্স। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৫ রান করে ঢাকা। জবাবে ১ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছায় লিটন দাসের দল।

এদিন কুমিল্লার জয়ের মূল নায়কই ছিলেন তাওহিদ। খেলেন ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ১০৮ রানের ইনিংস। মাত্র ৫৭ বলের ইনিংসটি সাজাতে ৮টি চার ও ৭টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। বিপিএলে ষষ্ঠ বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে তিন অঙ্ক স্পর্শ করলেন তাওহিদ। সবমিলিয়ে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে এটা ৩০তম সেঞ্চুরি। 

অথচ লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভয়াবহ ছিল কুমিল্লার। দলীয় ২৩ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পড়েছিল দলটি। আগের ম্যাচে রানে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও আবারও ব্যর্থতার বৃত্তে ঢুকে গেছেন অধিনায়ক লিটন দাস। ব্যক্তিগত ৮ রানে শরিফুল ইসলামের বলে পড়েছেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। আর অহেতুক দুই রান নিতে গিয়ে রানআউটে কাটা পড়েন জ্যাক উইলস। হতাশ করেন ইমরুল কায়েসও।

এরপর ব্রুক গেস্টকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন তাওহিদ হৃদয়। ৮৪ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। গেস্টকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন চতুরঙ্গ ডি সিলভা। ৩৪ রান করেন এই ইংলিশ ব্যাটার। এরপর এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন তাওহিদ। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি।

এর আগে ঢাকার হয়ে এদিন নাঈমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন চতুরঙ্গ ডি সিলভা। তবে খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেননি। ১৩ বলে ১৪ রান করে আউট হন আলিস আল ইসলামের বলে। এরপর সাইফকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন নাঈম। দুইজনই ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ১১৯ রানের জুটি। তাতেই বড় পুঁজির ভিত পেয়ে যায় দলটি।

শুরুতে এদিন বেশ আগ্রাসী ছিলেন নাঈম। মোস্তাফিজুর রহমানের করা পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ২২ রান তুলে নেন তিনি। সে ওভারে ৩টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকান এই ওপেনার। এরপর কিছুটা দেখে খেলেন তিনি। মাঝেমধ্যে বাউন্ডারি মেরে সচল রাখেন রানের চাকা।

দলীয় ১৪২ রানে সাইফকে ফিরিয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙেন ম্যাথিউ ফোর্ড। সে ওভারে তুলে নেন আরও দুটি উইকেট। তবে প্রায় ওয়াইড একটি বলে মারতে গিয়ে হিটউইকেট হয়ে আউট হন নাঈম। আর পরের বলে হাঁকাতে গিয়ে বিদায় নেন আন্দ্রে ম্যাককার্থিও। তবে আলেক্স রস ও এসএম মেহেরব শেষ দিকে পাল্টা আক্রমণ চালান।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন নাঈম। চলতি আসরে বেশ কিছু ভালো শুরু পেলেও এটাই তার প্রথম ফিফটি। ৪৫ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। ৪২ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন সাইফ। ১১ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২১ রানের ক্যামিও খেলেন রস। মেহেরব করেন কার্যকরী ১১ রান।

Comments

The Daily Star  | English

Iran fires back at Israel after onslaught targets nuclear facilities

Air raids sirens and explosions rang out across Israel after Prime Minister Benjamin Netanyahu took to the airways to issue a word of caution, saying he expected "several waves of Iranian attacks" in response

10m ago