ফাইনালে পাত্তাই পেল না এইচপি
বোলিং দিয়ে টপ এন্ড সিরিজের ফাইনাল পর্যন্ত এসেছিল বিসিবির এইচপি। ফাইনালে সেই বোলিং হলো না জুতসই। বাংলাদেশের বোলারদের হতাশা বাড়িয়ে বড় পুঁজি পেল অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের একাডেমি দল। চ্যালেঞ্জিং রান তাড়ায় ফের হতাশ করলেন তানজিদ হাসান তামিম-আফিফ হোসেন ধ্রুবরা।
রোববার ডারউইনে টপ এন্ড সিরিজের ফাইনালে ৩২ রানের ব্যবধানে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স একাডেমির কাছে হেরেছে বিসিবির এইচপি। আগে ব্যাট করে ১৬৯ রানের পুঁজি গড়ে অ্যাডিলেড। জবাবে শেষ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার আগে ১৩৭ রান তুলতে পারে বাংলাদেশের দলটি।
১৭০ রানের চ্যালেঞ্জ তাড়ায় এইচপির শুরুটা ঠিক জুতসই নয়। তানজিদ হাসান তামিম এক পাশে রান বাড়ালেও ধুঁকতে থাকেন জিসান আলম। দুবার জীবন পেয়েও আড়ষ্ট অবস্থা কাটাতে পারেননি। ১৯ বলে ১৮ করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
তিনে নেমে পারভেজ হোসেন ইমনও পারেননি। ৬ বলে ৩ রান করে এলবিডব্লিউতে কাটা পড়েন তিনি। তানজিদ চালিয়ে যাচ্ছিলেন, তবে থিতু হয়ে বিদায় তার। ২৯ বলে ২ চার, ১ ছক্কায় ৩৫ করে তিনি থামলে ধস নামে ইনিংসে।
আকবর আলি, শামীম হোসেন পাটোয়ারি ফেরেন পর পর। আফিফ হোসেন ধ্রুব থিতু হয়েও চাপ সামলাতে পারেননি। পুরো টুর্নামেন্টে ব্যর্থ অভিজ্ঞ এই বাঁহাতি আউট হন ১ বলে ১৮ রান করে।
৮৩ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরই ম্যাচের লাগাম এইচপির হাত থেকে ছুটে যায়। একশোর ভেতরে পড়ে ৭ উইকেট।
তরুণ মাহফুজুর রাব্বি এরপর শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়েছেন। ১৯ বলে তার ২১ রানের ইনিংস কখনই ম্যাচে জেতার অবস্থা তৈরি করতে পারেনি।
এর আগে টস জিতে বোলিং বেছে প্রতিপক্ষকে নাগালের ভেতর আটকাতে পারেনি এইচপি। দ্বিতীয় ওভারে জ্যাক উইন্টার রান আউটে ফিরলেও হ্যারি ম্যাথিয়াসকে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে দলকে টেনে নেন টম ও'কন্নেল। দশম ওভারে ১৯ করে ম্যাথিয়াস ফিরে গেলেও কনন্নেল চালিয়ে যান। আগ্রাসী ব্যাট করে ৩২ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি। ফিফটির পর পরই অবশ্য তাকে ফেরান আফিফ।
তবে এরপর লিয়াম স্কট, রায়ান কিং আর স্যাম রাহালে কার্যকর তিন ইনিংসে অ্যাডিলেডকে নিয়ে যান শক্ত অবস্থানে। স্কট ১৮ বলে ৩০, রানা ১৯ বলে করেন ৩৫ রান। শেষ দিকে নামা রাহালে ১৩ বলে অপরাজিত ২০ করে রাখেন অবদান।
Comments