ম্যান সিটিতে যোগ দেওয়ার খুব কাছে ছিলেন রোনালদো

তারকাখ্যাতির চূড়ায় পৌঁছানোর শুরুটা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে খেলে। তবে তাদেরই শহর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটিতে গত বছর যোগ দেওয়ার খুব কাছে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত সাবেক কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের পরামর্শে ইউনাইটেডেই ফিরে আসেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।
২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রেড ডেভিলদের শিবিরে প্রথম দফায় খেলেন রোনালদো। সেসময় ফার্গুসনের অধীনে থেকে আটটি বড় শিরোপা জেতার অভিজ্ঞতা হয় পর্তুগিজ এই মহাতারকার। এরপর রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্তাসের মতো ক্লাবে খেলে গত ২০২১ সালের অগাস্টে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি। পাঁচবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী এই ফরোয়ার্ডের সঙ্গে ইউনাইটেডের চুক্তি হয় দুই বছরের জন্য।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অবশ্য ইউনাইটেডে একদমই ভালো সময় যাচ্ছে না রোনালদোর। কোচ এরিক টেন হাগের প্রথম পছন্দের একাদশে জায়গা মিলছে না তার। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে রোনালদোও উসকে দিয়েছেন নানা বিতর্কের। তার ভেতরে ভেতরে জমতে থাকা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে সম্প্রতি ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগ্যানকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে, যার অংশবিশেষ ছাপা হয় গত রোববার। সেখানে অনেক আলাপের মাঝে ইউনাইটেড তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়া, কোচ টেন হাগের দিকেও অভিযোগের আঙুল তোলেন।
বুধবার রোনালদোর বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারের প্রথম অংশ সম্প্রচারিত হয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম টকটিভিতে। সেখানে গত বছরের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে ম্যান সিটিতে নাম লেখানোর সম্ভাবনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আচ্ছা, সত্যি বলতে, (চুক্তিবদ্ধ হওয়ার) খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলাম। এটা নিয়ে অনেক কথা হয় এবং (ম্যান সিটির কোচ পেপ) গার্দিওলা দুই সপ্তাহ আগেও এটা নিয়ে কথা বলেছেন। আমার ধারণা, আমাকে পেতে ওরা অনেক চেষ্টা করেছিল।'
লাল অংশের সঙ্গের ইতিহাস ভুলে রোনালদো হয়তো পাড়ি জমাতেন ম্যানচেস্টারের নীল অংশে। কিন্তু পুরনো গুরু ফার্গুসনের কথায় প্রভাবিত হয়ে পুরনো ঠিকানায় ফেরেন তিনি, 'আমি তার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তিনি আমাকে বলেছিলেন, "ম্যানচেস্টার সিটিতে যাওয়া তোমার জন্য অসম্ভব।" তখন আমি বলেছিলাম, "ওকে, বস।" তো তখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। আর এটা খুব ভালো একটি সিদ্ধান্ত ছিল।'
উল্লেখ্য, রোনালদোর সাক্ষাৎকারের অংশবিশেষ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। গত সোমবার ইউনাইটেড এক বিবৃতিতে জানায় যে তারা ৩৭ বছর বয়সী এই তারকার বক্তব্য খতিয়ে দেখছে। পুরো ঘটনা জানার পর ক্লাবটি প্রতিক্রিয়া জানানোর ব্যাপারে চিন্তা করবে।
Comments