মেসিকে ফেরাতে বার্সেলোনা-লা লিগা বৈঠক

লিওনেল মেসিকে ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বার্সেলোনা। কিন্তু ক্লাবের যে অর্থনৈতিক অবস্থা তাতে কাজটা বেজায় কঠিন তাদের জন্য। তবে কোনোভাবে যদি লা লিগা তাদের সাহায্য করে সেক্ষেত্রে অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে ইতিহাসের অন্যতম সেরা এ তারকাকে ফেরানোর পথ। এরজন্য লা লিগা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে ব্লুগ্রানারা।

স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল এল চিরিঙ্গিতো দে জুগোনেস জানিয়েছে বৃহস্পতিবার মাদ্রিদের একটি রেস্তোরাঁয় আলোচনায় বসেছে দুই পক্ষ। বার্সেলোনার হয়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্পোর্টস ডিরেক্টর মাতেউ আলেমানি ও ট্রেজারার ফেরান অলিভে। লা লিগার কর্পোরেট জেনারেল ডিরেক্টর হ্যাভিয়ার গোমেজ ও এক্সেকিউটিভ জেনারেল ডিরেক্টর অস্কার মায়ো ছিলেন লা লিগার পক্ষ থেকে।

সংবাদ অনুযায়ী, এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে আলোচনা করেন দুই পক্ষ। এরপর প্রথম গোমেজ ও পরে মায়ো সেই রেস্তোরাঁ ত্যাগ করেন। এরপর নিজেদের মধ্যেও প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনা করেন বার্সেলোনার আলেমানি ও অলিভে।

বার্সেলোনা জানে মেসিকে ফেরানোর ব্যাপারে আগ্রহ রয়েছে লা লিগারও। গত কয়েক বছরে অনেক বড় নামই হারিয়েছে স্প্যানিশ লিগ। যে কারণে কমে এসেছে অনেক পৃষ্ঠপোষকও। তাই মেসির মতো মহাতারকাকে ফিরে পেতে আগ্রহী তারা। এছাড়া মেসিকে ফিরে পেলে খুশি হবেন তা অনেকবারই বলেছেন স্বয়ং লা লিগা সভাপতি তেবাসও।

তবে বরাবরের মতো মূল বাঁধা ওই লা লিগার ফিনান্সিয়াল পলিসি। যে কারণে গত কয়েক মৌসুমেই ক্লাবটির গতিবিধিকে অনেকটাই সীমিত করে দিয়েছে। মেসিকে প্রস্তাব দেওয়ার আগে বার্সাকে তাদের বেতন-ভাতা থেকে খরচ কমাতে ২০০ মিলিয়ন ইউরো। যে বেশ কঠিনই তাদের জন্য। এরমধ্যেই আবার দলের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের চুক্তি নবায়নও করতে হবে তাদের।

এদিকে আগের দিনই রায়া ভায়োকানোর বিপক্ষে মাঠে নামার আগে মেসিকে ফেরানোর বিষয়ে সবশেষ আপডেট জানিয়েছিলেন আলেমানি, 'সে (মেসি) সত্যিই বার্সেলোনায় ফিরতে চায় এবং সে কয়েক দিন বার্সেলোনাতে ছিলও। তবে তার সঙ্গে কোনো ধরণের চুক্তি হয়নি।'

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বার্সেলোনায় কয়েক দিন ছুটি কাটিয়ে গেছেন মেসি। তার পারিবারিক বন্ধু ও সাবেক বেশ কয়েকজন সতীর্থের পরিবারের সঙ্গে একত্রে দেখা গিয়েছে এই পিএসজি তারকাকে।

Comments

The Daily Star  | English
US tariffs impact on Bangladesh economy

Can Bangladesh ride out the wave of US tariffs?

Trump's announcement sent businesses scrambling. Orders froze. Buyers demanded discounts. Stock markets plummeted.

11h ago