পিএসজির 'অনেক খেলোয়াড়' তাদের স্তরে নেই: গালতিয়ের

কাতার বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়ে শীর্ষ পাঁচ লিগে পিএসজিই ছিল একমাত্র অপরাজিত দল। কিন্তু সেই দলটিই মৌসুমের দ্বিতীয় ভাগে খেই হারিয়ে বসেছে। এরমধ্যেই হেরেছে ছয়টি ম্যাচে। লিগে এখনও বাকি রয়েছে পাঁচ রাউন্ড। খেলোয়াড়রা তাদের স্তরে নেই বলেই এমনটা হচ্ছে বলে মনে করেন কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের।
পার্ক দে প্রিন্সেসে রোববার লিগ ওয়ানের ম্যাচে লরিয়ঁর কাছে ১-৩ গোলের ব্যবধানে হেরেছে পিএসজি। ১৯৮৯ সালের পর প্রথমবার ঘরের মাঠে টানা আট ম্যাচে গোল হজম করল তারা। ম্যাচের ২০ মিনিটের মধ্যেই দুটি হলুদ কার্ড দেখে আশরাফ হাকিমি বহিষ্কার হলে ১০ জনে পরিণত হয় দলটি। এক জন কম নিয়ে লড়াইটা জমাতে পারেনি তারা।
তবে দলের এমন বিবর্ণ হারে খেলোয়াড়দেরই দায় দিলেন পিএসজি কোচ, 'আমরা যেভাবে শুরু করেছি, প্রথম ২০ মিনিট পর আপনি বেশি আশা করতে পারবেন না। প্রথম দুই গোলে আমরা খুবই বাজেভাবে রক্ষণ সামলেছি। আমরা ১১ জনের বিপরীতে ১০ জনে পিছিয়ে থাকতে পারি না। খেলোয়াড়দের প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। আপনি এই ধরনের আচরণ করতে পারেন না।'
খেলোয়াড়রা তাদের নিজেদের স্তরেই নেই বলে মনে করেন এ কোচ, 'এটার (ঘুরে দাঁড়ানোর) জন্য দলীয় এবং ব্যক্তিগত সচেতনতা লাগে। অনেক খেলোয়াড়েরই ফোকাস নেই। খেলোয়াড়দের কিছু ধাক্কা দিতে হবে। মৌসুমের এই দ্বিতীয় ভাগে আমাদের অনেক খেলোয়াড় তাদের স্তরের নিচে আছে।'
অবশ্য হারের পরও শীর্ষেই আছে পিএসজি। ৩৩ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট তাদের। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মার্শেইর সংগ্রহ ৭০ পয়েন্ট। দুই দলের মধ্যে পয়েন্টের ব্যবধান পাঁচ। অর্থাৎ শেষ পাঁচ রাউন্ডে দুটি হারেই ভেঙে যেতে পারে প্যারিসিয়ানদের স্বপ্ন। তার শঙ্কাও রয়েছে। কারণ লিগে সবশেষ ছয় ম্যাচে তারা হেরেছে তিনটিতে।
গালতিয়েরও সেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীরা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগোলেও নিজেদের পারফরম্যান্স সাদামাটা বলে জানান তিনি, 'আমরা জানি না আজ রাতে আমাদের কত পয়েন্ট থাকবে (অ্যাজারের বিপক্ষে মার্শেই এবং তুলুজ বনাম লঁসের ম্যাচ শেষে)। মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে অলিম্পিক মার্শেই এবং লঁস পূর্ণ গতিতে চলছে। আমরা খুবই গড়পড়তায়।'
'আমাদের শুধু খেলোয়াড়দের প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে হবে। আমাদের এই ধরনের বিষয় থাকতে পারে না… সামগ্রিকভাবে, এটা বড় একটি হতাশা। আমাদের দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে,' যোগ করেন এ কোচ।
Comments