'ভুটানের উচ্চতা' ভাবাচ্ছে বাংলাদেশকে

আন্তর্জাতিক বিরতিতে দুই ম্যাচের সিরিজ খেলতে গত শুক্রবারই ভুটানে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। তবে এখনও কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেননি তারা। ভুটানের উচ্চতায় শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে ফুটবলারদের। তবে আশার কথা প্রথম ম্যাচের আগে মানিয়ে নেওয়ার জন্য আরও তিন দিন সময় পাচ্ছেন তারা।

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ভুটানের উচ্চতা সাত হাজার ফুট। অন্যদিকে সমুদ্র সমতলে অবস্থান বাংলাদেশের। এতো উচ্চতায় খেলার অভিজ্ঞতা নেই কোনো ফুটবলারেরই। শ্বাস নেওয়ায় কষ্ট হওয়াটাই স্বাভাবিক। এরসঙ্গে ভাবাচ্ছে প্রায় তিন মাস পর তাদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফেরাটাও। বিরতিতে ফিটনেস নিয়ে কাজ করা হয়নি। যেখানে মৌসুম চলতে থাকায় খেলার মধ্যেই আছেন ভুটানের খেলোয়াড়েরা।

সোমবার অনুশীলন করার ফাঁকে বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেন, 'আমরা জানি, ভুটানে মৌসুমের মধ্যবর্তী সময় চলছে। তো ওদের খেলোয়াড়রা সবাই ফিট আছে। কিভাবে রক্ষণ সামলাতে হবে, কিভাবে আক্রমণ করতে হবে, সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা জানি, এটা ভুটানের হোম গ্রাউন্ড, তো আমাদের একটু বেশি খেয়াল রাখতে হবে।'

'(ম্যাচের টার্ফে) আজ প্রথম অনুশীলন করলাম। মাঠ অনেক গতিময়। সবার শ্বাস নিতে একটু সমস্যা হচ্ছে। আরও এক-দুই দিন সময় লাগবে। আমি মনে করি, সবাই বেস্ট শেপে নেই...আস্তে আস্তে সবাই সেরা পর্যায়ে আসছে।'

শ্বাস নেওয়ায় সমস্যার কথা বললেন মিডফিল্ডার সোহেল রানাও, 'অবশ্যই ম্যাচগুলো জয়ের চেষ্টা করব। র‌্যাঙ্কিংয়ে যদি আমরা ভালো অবস্থানে থাকতে চাই, তাহলে... অবশ্যই জয়ের জন্য মাঠে নামব। যে মাঠে খেলব, সেখানে আজ প্রথম আমরা অনুশীলন করেছি। আমাদের শ্বাস নিতে একটু কষ্ট হচ্ছে। তবে আমরা এখনও দুই দিন সময় পাব এই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য।'

তবে সব প্রতিকূলতা মানিয়ে নিয়ে ভালো খেলার প্রত্যয় দেখান ডিফেন্ডার রহমত মিয়া, 'তিন মাস বিরতি দিয়ে আমরা জাতীয় দলে যোগ দিয়েছি, যেহেতু সবার ফিটনেস আপ টু দ্য মার্ক নয়, সবাই চেষ্টা করছি এখানকার আবহাওয়া ও কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। যেহেতু আর্টিফিশিয়াল টার্ফে খেলা, স্বভাবতই আমরা ঘাসের মাঠে খেলে অভ্যস্ত, ফলে মানিয়ে নিতে আমাদের একটু সমস্যা হচ্ছে।'

'তবে এই টার্ফের সাথে মানিয়ে নিয়ে কিভাবে আমরা ভালো করতে পারি, কোচিং স্টাফরা সেটা নিয়ে কাজ করছেন। আশা করছি, আমাদের হাতে যে দুইটা দিন আছে, সেটা আমাদের সাহায্য করবে এবং ইনশাল্লাহ আমরা ভালো করতে পারব,' যোগ করেন এই ডিফেন্ডার।

Comments

The Daily Star  | English

US strikes on Iran: what you need to know

Trump said the United States struck three main Iranian nuclear sites: Fordo, Natanz and Isfahan, with the former being hit with a "full payload of bombs."

50m ago