এবার ভুটানের কাছে হেরে গেল বাংলাদেশ

সাদামাটা ফুটবল খেলে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে হেরে গেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা

প্রথম ম্যাচে জয় পেলেও মাঠের ফুটবলে মন ভরাতে পারেনি বাংলাদেশ।  অনেকটা ভাগ্যের সহায়তায় পাওয়া এক গোলে কোনোমতে জয় পেয়েছিল তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে আর ভাগ্য সহায়তা করেনি। সাদামাটা ফুটবল খেলে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে হেরেই গেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।

রোববার থিম্পুর চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে ভুটানের বিপক্ষে ১-০ গোলের ব্যবধানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে কিংয়া ওয়াংচুকের পা থেকে। প্রথম ম্যাচে একই ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। ফলে দুই ম্যাচের সিরিজ সমতায় শেষ হলো।

মাঝে প্রায় তিন মাস ফুটবল থেকে বাইরে ছিল বাংলাদেশ। তাই লম্বা বিরতির পর স্বাভাবিকভাবেই ফিটনেসে কিছুটা ঘাটতি দেখা দিয়েছিল প্রথম ম্যাচেই। তার উপর ভূপৃষ্ঠ থেকে আট হাজার ফুট উচ্চতায় শ্বাস নেওয়ার সমস্যার কথাও বলেছিলেন খেলোয়াড়রা। কিন্তু প্রথম ম্যাচের চেয়েও এদিন  বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা ছিলেন বিবর্ণ। পুরো ম্যাচে ভুল পাসের ছড়াছড়ি।

তবে গোল করার মতো ভালো দুটি সুযোগ প্রথমার্ধে পেয়েছিল বাংলাদেশ। একাদশ মিনিটেই একটি সুযোগ নষ্ট করেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। নিজের অর্ধ থেকে দেওয়া তপু বর্মণের থ্রু পাস বাঁ প্রান্তে ফাঁকায় পেয়ে যান। কিন্তু বল ধরে এগিয়ে শট নিতে দেরি করে ফেলেন তিনি। ততক্ষণ পেছন থেকে এক ডিফেন্ডার এসে ব্লক করেন ফাহিমের শট।

ম্যাচের ২০তম মিনিটে গোল করার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল ভুটান। ওরগান টিশেরিংয়ের নেওয়া ফ্রিকিক থেকে ছোট ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে গিয়েছিলেন নিমা ওয়াংদি। কিন্তু ভালোভাবে পা ছোঁয়াতে না পারায় নষ্ট হয় সে সুযোগ। ৩৩তম মিনিটে বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক মিতুল মারমা। ডান প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে একেবারে ফাঁকায় ঢুকে যান টিশেল্ট্রিম নামগেল। জোরালো শটও নিয়েছিলেন। তবে দারুণ দক্ষতায় ফিস্ট করে জাল অক্ষত রাখেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দিনের সেরা সুযোগটি নষ্ট করেন শাহরিয়ার ইমন। সোহেল রানার থ্রু পাসে গোলরক্ষক নামগেল ধেনদুপকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বুদ্ধিদীপ্ত কোনো শট নিতে পারেননি। গোলরক্ষকের গা বরাবর শট নিয়ে নষ্ট করেন সেই সুবর্ণ সুযোগ।

দ্বিতীয়ার্ধের খেলা চলে ঢিমেতালে। মাঝেমধ্যে কিছুটা প্রাণ ছড়ান ভুটানের খেলোয়াড়রাই। ৮৯তম মিনিটে এর দূরপাল্লার শট ধরতে গিয়ে বিপদ প্রায় ডেকে এনেছিলেন গোলরক্ষক মিতুল। বল ধরতে গিয়ে হাত থেকে ফসকে গেলে প্রতিপক্ষ এক খেলোয়াড় বলের নিয়ন্ত্রণ প্রায় নিচ্ছিলেন। তবে শেষ মুহূর্তে ঝাঁপিয়ে সে বল ধরে শঙ্কা দূর করেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক।

তবে এক মিনিট পর গোল হজম করে বাংলাদেশ। বদলি খেলোয়াড় সাদউদ্দিনের অহেতুক ফাউলে পাওয়া ফ্রিকিক থেকে সৃষ্ট জটলায় এক খেলোয়াড় ব্যাকভলি করে দেন পেমা ধেনদুপকে। তার হেড থেকে একেবারে ফাঁকায় অক্ষত অবস্থায় পেয়ে যান কিংয়া। জোরালো শটে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল হয়নি তার।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh ranks 84th among 127 countries in Global Hunger Index

The level of hunger in Bangladesh this year has been categorised as "moderate"

1h ago