রিয়ালকে 'হ্যাঁ' বলেছেন ডেভিস

রিয়াল মাদ্রিদে ট্রেন্ট অ্যালেকজান্ডার আর্নল্ডের ভবিষ্যৎ অনেকটাই নিশ্চিত। চলতি মাসের মধ্যেই যে কোনো সময় এই চুক্তি হতে পারে বলেই সংবাদ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। এরমধ্যেই স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, আরেক তারকা ফুল-ব্যাক আলফান্সো ডেভিসও আসছেন রিয়ালে!

সাম্প্রতিক সময়ে ফুল ব্যাক পজিশনে সবচেয়ে বেশি ভুগছে লস ব্লাঙ্কোসরা। চোটের কারণে পুরো মৌসুমের জন্য ছিটকে গেছেন দানি কারবাহাল। ফর্মহীনতায় ভুগছেন ফেরলান্ড মেন্ডি। তাই লেফট এবং রাইট দুই প্রান্তেই ফুল ব্যাকের সন্ধানে রয়েছে তারা।

মার্কা তাদের সংবাদে জানিয়েছে, সম্প্রতি কানাডিয়ান ডিফেন্ডারকে চুক্তি নবায়নের একটি নতুন প্রস্তাব দিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ এবং এর দ্রুত জবাবও চেয়েছে ক্লাবটি। তবে ডেভিসকে দল বদলের জন্য রাজি করানোর লক্ষ্য নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদও চুপচাপ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এবং রিয়ালকে 'হ্যাঁ'ও বলেছেন তিনি।

প্রতিবেদন অনুসারে, ডেভিসের পরিস্থিতি গত বসন্তকাল থেকেই অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে। তার এজেন্টের অতিরিক্ত তাড়াহুড়োর কারণে গত গ্রীষ্মে রিয়াল মাদ্রিদে যোগদানের সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যায়। তখন মাদ্রিদের ক্লাব পিছিয়ে গিয়ে ডেভিসকে এমবাপের পথ অনুসরণ করার পরামর্শ দেয়, অর্থাৎ ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে বলে।

মূলত এ সিদ্ধান্তের কারণ ছিল একটি বৈধ চুক্তি প্রস্তুত করা, যা ফিফার নিয়ম অনুযায়ী চুক্তির শেষ ছয় মাসের মধ্যে স্বাক্ষরিত হতে পারে। ডেভিসের প্রতিনিধিরাও স্প্যানিশ আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আগের আলোচনাগুলোকে আইনি কাঠামো দেওয়ার জন্য। সবকিছু চুক্তি চূড়ান্ত করার নির্দেশের অপেক্ষায় ছিল, যা বর্তমানে জারি হয়েছে।

তবে এখনও ডেভিসের মনস্থির হয়নি এবং কিছু সংশয় রয়ে গেছে। বায়ার্নের সঙ্গে তার নতুন চুক্তি এখনও চূড়ান্ত হয়নি, কারণ বাভারিয়ান ক্লাবের তরফ থেকে কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। ডেভিস শেষ পর্যন্ত ভালদেবেবাসেই আসছেন বলেই বিশ্বাস করে রিয়াল।

এদিকে ডেভিসের ওপর চাপও বেশ তীব্র। বায়ার্ন স্বাভাবিকভাবেই তাকে যেতে দিতে চায় না এবং তারা একটি আর্থিক প্রস্তাব দিয়েছে যা রিয়ালের প্রস্তাবের চেয়ে বেশি। এই প্রস্তাব অনুযায়ী ডেভিস বায়ার্ন স্কোয়াডে হ্যারি কেইনের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতন পাবেন। এখন পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে ডেভিসের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের ওপর।

Comments

The Daily Star  | English

22 sectors still pay wages below poverty line

At least 22 sectors in Bangladesh continue to pay their workers much less than what is needed to meet basic human needs.

5h ago