সুইজারল্যান্ড বনাম ক্যামেরুন: প্রেডিকশন, একাদশ ও অন্যান্য রেকর্ড

জমে উঠেছে বিশ্বকাপ। ছোট দলগুলো হারিয়ে দিচ্ছে বড় দলগুলোকে। বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ড বনাম ক্যামেরুনের ম্যাচে সুইসরা ফেভারিটের তকমা নিয়েই নামবে মাঠে। বড় মঞ্চে অতীত সাফল্যের বিবেচনায় এগিয়ে তারাই। কিন্তু চমকে দিতে পারে ক্যামেরুনও।
ম্যাচের ফলাফল জানা যাবে ম্যাচ শেষেই, তবে তার আগে কাগজে কলমে দুদলের সামর্থ্য ও সাম্প্রতিক ফর্মের আলোকে ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে হাজির আমরা। পাশাপাশি দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ, ফর্মেশনও তুলে ধরা হলো ডেইলি স্টারের পাঠকদের জন্য-
কখন?
বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায়
কোথায়?
আল জানোব স্টেডিয়াম, আল ওয়াকরাহ
নজরে থাকবেন যারা
ম্যাচে ভালো করতে সুইজারল্যান্ড চেয়ে থাকবে গ্রানিত জাকা-জেরদান শাকিরিদের দিকে। ডেনিস জাকারিয়া, ম্যানুয়েল আকানজিরাও বড় নাম দলটিতে।
ক্যামেরুন শিবিরেও আছেন বায়ার্ন মিউনিখ তারকা এরিক ম্যাক্সিম চৌপো-মোটিং। দীর্ঘদেহী এই ফরোয়ার্ড বেশ পটু হেডিং ও ফিনিশিংয়ে।
সম্ভাব্য লাইন আপ
সুইজারল্যান্ড: (৪-২-৩-১): সোমার (গোলরক্ষক), আকানজি, এলভেদি, রদ্রিগেজ, উইডমার, জাকা, ফ্রেউলার, শাকিরি, সো, ভার্গাস, এমবোলো
ক্যামেরুন: (৪-৪-২) ওনানা (গোলরক্ষক), ক্যাসটেলেট্টো, তোলো, এনকোলো, ফাই, অ্যাঙ্গুইসা, একামবি, হংলা, এমবেউমো, চৌপো-মোটিং, আবু বকর
প্রেডিকশন
সবশেষ বিশ্বকাপেও শেষ ষোলোতে খেলেছিল সুইসরা। বড় মঞ্চের চাপ কিভাবে সামলাতে হয় ভালোই জানা আছে তাদের। এদিকে ২০১০ ও ২০১৪ সালে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি ক্যামেরুন, রাশিয়ার আসরে বাছাইপর্বেই ছিটকে গিয়েছিল আফ্রিকার দলটি। তবে সুইজারল্যান্ডকে চমকে দিতে পারে তারাও।
সম্ভাব্য স্কোর:
সুইজারল্যান্ড ১-১ ক্যামেরুন
অন্যান্য পরিসংখ্যান
১) এ নিয়ে ১২ বার বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলছে সুইজারল্যান্ড। এবার বাছাই পর্বে ইউরো ২০২০ বিজয়ী ও চার বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালিকে পেছনে ফেলে গ্রুপের শীর্ষে থেকে টানা পঞ্চম বারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে এসেছে দলটি।
২) ১৯৬৬ সালে জার্মানির বিপক্ষে ৫-০ গোলে হেরে যাওয়ার পর থেকে সুইজারল্যান্ড বিশ্বকাপে (দুটি জয় ও তিনটি ড্র) তাদের পাঁচ আসরে প্রতিটি উদ্বোধনী ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে।
৩) অষ্টমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ক্যামেরুন, যা আফ্রিকান দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
৪) বিশ্বকাপে অন্য যেকোনো আফ্রিকান দেশের (২৩) চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে ক্যামেরুন। বিশ্বকাপে ১৮টি গোল দিয়েছে তারা। আফ্রিকান দলগুলোর মধ্যে এ টুর্নামেন্টে তাদের এয়ে বেশি গোল কেবল নাইজেরিয়া (২৩) দিতে পেরেছে।
৫) বিশ্বকাপে ক্যামেরুন তাদের শেষ সাত ম্যাচের প্রতিটিতে হেরেছে। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে শুধুমাত্র মেক্সিকোই পরপর আরও বেশি ম্যাচ হেরেছে (১৯৩০ এবং ১৯৫৮ সালের মধ্যে ৯টি)।
৬) দুই দলই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত খেলেছে।, ১৯৩৪, ১৯৩৮ এবং ১৯৫৮ সালে সুইজারল্যান্ড এবং ১৯৯০ সালে ক্যামেরুন।
৭) ক্যামেরুন তাদের শেষ পাঁচটি ম্যাচে জিতেছে একটিতে, একটি ড্র এবং তিনটি হেরেছে। অন্যদিকে শেষ পাঁচ ম্যাচে তিনটি জিতেছে এবং দুটি হেরেছে সুইজারল্যান্ড।
৮) বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ক্যামেরুনের শেষ জয় এসেছিল সৌদি আরবের বিপক্ষে। ২০০২ সালে জাপানে ১-০ গোলে জিতেছিল দলটি।
৯) সুইজারল্যান্ড তাদের শেষ চারটি টুর্নামেন্টের তিনটিতে (২০০৬, ২০১৪ এবং ২০১৮) গ্রুপ পর্ব পার হতে পেরেছিল, ২০১০ সালে বাদ পড়েছিল।
Comments