চাঁদাবাজির অভিযোগ, লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিকে অব্যাহতি

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সই করা পত্রে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

চাঁদাবাজির ঘটনায় অভিযুক্ত লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ জামান বিলাসকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সই করা পত্রে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ পত্র স্বাক্ষরিত হয়।

অব্যাহতি পত্রে বলা হয়েছে, সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা-পরিপন্থী, অপরাধমুলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ জামান বিলাসকে তার স্বীয় পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চাঁদাবাজিসহ বেশ কয়েকটি অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ার লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ জামান বিলাসকে তার স্বীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আমরা রাশেদ জামান বিলাসের কর্মকাণ্ডে খুবই বিব্রত হয়ে পড়েছিলাম।'

লালমনিরহাট জেলা ছাত্রীগের সভাপতিকে অব্যাহতির সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।'

গত ৯ জুন রোববার বিকেলে লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাশেদ জামান বিলাস তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে আইয়ুব আলী নামে এক গরু ব্যবসায়ীর কাছে দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা চাঁদা নেন। এ ঘটনায় লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা করেন ওই গরু ব্যবসায়ী।

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাশেদ জামান বিলাস ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের গ্রেপ্তার করার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ওউ ভুক্তভোগি গরু ব্যবসায়ী ও তার লোকজন। শুক্রবার দুপুরে আদিতমারী উপজেলা শহরের ভাদাই এলাকায় এ মানববন্ধন করা হয়।

Comments