দীপন হত্যা মামলা: রায় ঘোষণার আগে ও পরে

জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় আট আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান জলি। দীপনের বাবা আবুল কাসেম ফজলুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘এটা প্রত্যাশিত রায়।’
Dipon Murderer.jpg
ছয় আসামিকে কড়া নিরাপত্তায় কারাগার থেকে আদালতে নেওয়া হয়। ছবি: স্টার

জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় আট আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান জলি। দীপনের বাবা আবুল কাসেম ফজলুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘এটা প্রত্যাশিত রায়।’

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আট আসামি হলেন- মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত সামির, আবদুস সবুর ওরফে আবদুস সামাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল রিফাত, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব সাজিদ, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের, চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব। এদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম পলাতক।

রায় উপলক্ষে আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছয় আসামিকে কড়া নিরাপত্তায় কারাগার থেকে আদালতে নেওয়া হয়। এসময় তাদের প্রত্যকের গায়ে ছিল বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, মাথায় হেলমেট।

আদালতের ভেতর ও বাইরের নিরাপত্তায় প্রায় শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। মামলার আইনজীবী, প্রসিকিউটর ও সাংবাদিক ছাড়া অন্য কাউকে এজলাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এসময় সবাইকে স্ক্যানিং করিয়ে এজলাসে প্রবেশ করানো হয়।

আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আমাদের সংবাদদাতা জানান, রায় পড়তে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট সময় নিয়েছেন বিচারকরা। এসময় আসামিদের উপস্থিতিতে ৫৩ পৃষ্ঠার রায় পড়ে শোনানো হয়।

দীপনের বাবা আবুল কাসেম ফজলুল হক আদালতে না গেলেও উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান জলি। রায় ঘোষণার পর তিনি আদালত প্রাঙ্গণে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় সাংবাদিকরা তাকে ঘিরে ধরেন। তবে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি এবং কিছুক্ষণের মধ্যে আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।

তবে রায়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছে আমাদের সংবাদদাতা।

রায়ের পর আসামিদের আবার কড়া নিরাপত্তায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও পড়ুন:

এটা প্রত্যাশিত রায়: দীপনের বাবা

দীপন হত্যায় ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড

Comments

The Daily Star  | English

Love road at Mirpur: A youthful street

Certain neighbourhoods in Dhaka have that one spot where people gather to just sit back and relax. For Mirpur, it’s the frequently discussed street referred to as “Love Road”.

1h ago