মানবিক সংস্থাগুলো বলেছে বন্যায় স্বাস্থ্যসেবা ও পানি সরবরাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
‘ঢাকায় আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। হলেও দিবাগত রাতে হতে পারে।’
কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। গত তিন দিনে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদে ৮৭ সেন্টিমিটার ও বগুড়ায় যমুনা নদীতে ৮৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে প্রাক-বর্ষার পানি প্রবাহ অতিক্রম করতে পারে।
সোমবারের নিহতদের সহ মার্চ-মে বর্ষা মৌসুমে মোট মৃতের সংখ্যা ১২০ ছাড়িয়েছে। এ বছরের বর্ষা মৌসুমে পূর্ব আফ্রিকায় নজিরবিহীন বৃষ্টিপাত হচ্ছে, যার জন্য এল নিনো আবহাওয়া দায়ী।
স্থানীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়, আরব আমিরাতের এক বর্ষীয়ান নাগরিক (৭০) মঙ্গলবার সকালে মারা গেছেন। দেশের উত্তরের রাস আল খায়মাহ প্রদেশে আকস্মিক বন্যায় তার গাড়িটি ডুবে যায়।
রোববার থেকেই দমকা হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে ওমানবাসীদের জীবন। দেশটির উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের বেশ কিছু অংশে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে।
রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৬ জন আহত হয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত দুই হাজারেরও বেশি মানুষকে বন্যাদুর্গত এলাকা থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মোট ২২ হাজার মানুষ এই বন্যায় প্রভাবিত হয়েছেন।
লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের ৮টি উপজেলার ২২টি ইউনিয়নে প্রায় ১০০টি চর ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এলাকার অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারেজে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার এবং কুড়িগ্রামের কাউনিয়া পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আরও খারাপ হবে বলে একটি নতুন সমীক্ষায় জানানো হয়েছে।
সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আজ আগামী ১৫ দিনের বর্ধিত পূর্বাভাসে এই তথ্য জানিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্যালিফোর্নিয়ার পর্বত ও মরুভূমিগুলোতেও ৫ থেকে ১০ ইঞ্চির মতো বৃষ্টিপাত হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানান, এসব মরুভূমিতে সারা বছরেও এতো বৃষ্টিপাত হওয়ার নজির নেই।
এই ইউনিয়নের ১ হাজার ২৫০টি পরিবারের প্রায় ১৫৪টি ঘর ও ১৮০টি দোকান পাহাড়ি ঢলে ভেসে গেছে।
পরিচয় জানতেই দাঁড়িয়ে গেল বৃদ্ধ দম্পতি। চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল দুজনার।
বন্যার পানি কমে গেলেও এখনো পর্যন্ত অনেক স্কুলে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়নি।
চর ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ও আমন ধানের খেত।
বন্যায় প্লাবিত বান্দরবান জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের ৩০ হাজারের বেশি বই ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে।