গুলি করে কর্মী হত্যা: আদালতে ছাত্রলীগ নেতা ফারাবির স্বীকারোক্তি

জবানবন্দিতে ফারাবি তাদেরই কর্মী ইজাজকে কেন হত্যা করেছেন, তা আদালতে বর্ণনা করেন।
নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রাম থেকে ফারাবিকে গ্রেপ্তার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কলেজপাড়া এলাকায় গত বুধবার প্রকাশ্যে ছাত্রলীগ কর্মীকে হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার গ্রেপ্তারকৃত আসামি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান আল ফারাবি জয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সামিউল ইসলাম ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ১৬৪ ধারায় ফারাবির জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

এর আগে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু বক্কর সিদ্দিক ফারাবিকে আদালতে হাজির করেন।

জবানবন্দিতে ফারাবি তাদেরই সহযোগী আশরাফুর রহমান ইজাজকে কেন হত্যা করেছেন, তা আদালতে বর্ণনা করেন। এ সময় আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রাম থেকে ফারাবিকে গ্রেপ্তার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের সেতুর পাশের ঝোপ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়।

চাঞ্চল্যকর এই মামলায় আর কোনো আসামিকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গত ৫ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের কলেজপাড়া এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের ছাত্র আশরাফুর রহমান ইজাজকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কৃত হাসান আল ফারাবি জয় ছাত্রলীগ কর্মী ইজাজকে গুলি করেন এবং এরপর কোমরে পিস্তল গুঁজে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।

এ ঘটনায় ইজাজের বাবা আমিনুর রহমান বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh losing zero-duty benefits post-LDC graduation

LDC exit: A win for the nation, but a loss for trade

Bangladesh’s graduation from the group of least-developed countries (LDCs) to a developing nation in 2026 has become a point of national pride, underlining the substantial economic strides that the country has made.

18h ago