মিতব্যয়ী হওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে স্বাগত জানাই

ছবি: সংগৃহীত

ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতা ও সংকট মোকাবিলায় সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি খাত এবং সার্বিকভাবে জনগণকে মিতব্যয়ী হওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের আমরা পুনর্ব্যক্ত করছি।

তবে, সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের বিষয়ে আমরা জোর দিয়ে বলছি— বর্তমানে বৈশ্বিক পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে না থাকলেও এটা স্বীকার করে নেওয়া উচিত যে, ব্যাপক মাত্রায় দুর্নীতি ও নিয়মিতভাবে অভ্যন্তরীণ তহবিলের অপচয় আমাদের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং এর ফলে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পের বিষয়ে ধীরগতিতে এগুতে বলেছেন এবং আমরা তার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। প্রকৃতপক্ষে, আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে সরকারকে বলব—আপাতত অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলোর জন্য কোনো ব্যয়ের আগে সেগুলোর সম্ভাব্যতা গুরুত্বের সঙ্গে পরীক্ষা করতে।

যেমনটি আমরা এই কলামে বারবার বলেছি, অপচয় ও ব্যয়ের হেরফের খতিয়ে দেখা দরকার। এ সব বিষয় আমাদের দেশে নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে; বিশেষ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণ সেগুলো বহন করতে পারবে না।

প্রকল্পগুলোর মনিটরিং জোরদার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে সরকারের উচিত এই সুযোগ কাজে লাগানো, যা আমাদের দুর্নীতিতে নিমজ্জিত জাতির মুক্তির একমাত্র উপায়।

এই মুহূর্তে, ক্ষমতাসীন দলকে জরুরিভিত্তিতে 'দুর্নীতির জন্য শূন্য সহনশীলতার' অঙ্গীকার চূড়ান্তভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে জনগণেরও বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে মানুষের একত্রিত হওয়া প্রয়োজন।

এই মুহূর্তে আমাদের যা প্রয়োজন, তা হলো ঐক্য ও কমনসেন্সের উপস্থিতি। সমাজের ধনীদের নিম্ন-আয়ের মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা উচিত, যারা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন।

অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয়, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা কমানোর সময় সরকারের উচিত আরও বেশি দরিদ্র এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা। এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো—এটা নিশ্চিত করা যে উদ্দিষ্ট সুবিধাভোগীদের কাছে এসব সুযোগ-সুবিধা পৌঁছেছে।

বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে দেশের মৌলিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণগুলোকে চিহ্নিত করে সেগুলো শক্তিশালী করার ওপর আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত। তা ছাড়া, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত সতর্ক থাকা উচিত এবং সরকারি কর্মকর্তা, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এবং আধা-সরকারি সংস্থার কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধের সিদ্ধান্তের বিষয়ে সৎ থাকা উচিত; পাশাপাশি সরকারি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিষয়েও।

Comments

The Daily Star  | English

UN eyes major overhaul amid funding crisis, internal memo shows

It terms "suggestions" that would consolidate dozens of UN agencies into four primary departments: peace and security, humanitarian affairs, sustainable development, and human rights.

2h ago