পাচার রোধে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ: অর্থমন্ত্রী

পাচার রোধে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, বিদেশে বিনিয়োগ করার সুযোগ না দিলে হুন্ডির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার হয়ে যেত।
আজ রোববার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত সভার পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশি রপ্তানিকারকরা তাদের রপ্তানির একটি অংশ বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারবে এমন সুযোগ রেখে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় একটি নীতিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদেশে বিনিয়োগ করা অন্যায় কিছু নয়। যদি অনুমোদন না করেন এটা হুন্ডির মাধ্যমে চলে যাবে বিভিন্ন দেশে। তার চেয়ে অফিসিয়ালি অ্যালাও করা ভালো। তবে ঢালাওভাবে সুযোগ দেওয়া হয়নি। যারা এক্সপোর্ট করেন, যাদের রিটেনশন মানি রয়েছে তার ২০ শতাংশ বা নিট অ্যাসেটের ভিত্তিতে বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন।
তিনি আরও বলেন, এটা একটা ভাল উদ্যোগ। আমাদের প্রতিযোগিতা ক্ষমতা বেড়েছে। দেশের মানুষ এখন অনেক ইনোভেটিভ। দেশ এখন স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। এখন যদি অ্যালাও না করা হয়, আমরা অন্যান্য দেশ থেকে পিছিয়ে পড়বো।
বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের প্রাক্কলন চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। তবে আইএমএফ-এর প্রক্ষেপণ ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হবে। আইএমএফ সব সময় রক্ষণশীল প্রক্ষেপণ করে থাকে। তবে আমার বিশ্বাস, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। চলতি অর্থবছরে অর্থনীতির আকার ৪৫৫ বিলিয়ন ডলার হবে, এর মাধ্যমে অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলারের মাইল ফলক অতিক্রম করতে পারবো।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটিতে ৩টি নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো—জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জন্য ২০টি সিলভার রঙের টয়োটা হাইয়েস মাইক্রোবাস সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কিনবে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর;
ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) আধুনিক জিও লোকেশন সিস্টেম সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কিনবে এবং এনটিএমসিকে মোবিলিয়াম, ইনকরপোরেটেড ইউএসএ-এর কাছ থেকে ৫৬ কোটি ৩২ লাখ টাকায় একটি ভেহিকেল মাউন্টেড ডেটা ইনস্পেকটর (ভিওআইপি) এবং সংশ্লিষ্ট সেবা কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
Comments