রপ্তানি খাতসহ উৎপাদনমুখী কারখানা খুলে দেওয়ার আহ্বান এফবিসিসিআইর

যত দ্রুত সম্ভব দেশের সব রপ্তানি খাতসহ উৎপাদনমুখী কারখানা খুলে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)।

যত দ্রুত সম্ভব দেশের সব রপ্তানি খাতসহ উৎপাদনমুখী কারখানা খুলে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)।

আজ বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআই থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ সকালে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।

জসিম উদ্দিন বলেন, 'যত দ্রুত সম্ভব দেশের সব রপ্তানি খাতসহ উৎপাদনমুখী কারখানা খুলে না দিলে রপ্তানি খাতের অর্ডারগুলো বাতিল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সব ধরনের রপ্তানি বাণিজ্য। পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে যেতে পারে।' 

একইসঙ্গে রপ্তানি কার্যক্রমে নিয়োজিত সব শ্রমিক-কর্মচারীদের টিকা প্রদানের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, 'কোভিডজনিত বিধিনিষেধের আওতায় সব ধরনের শিল্প-কারখানা বন্ধ রাখায় অর্থনৈতিক কার্যক্রমের প্রাণশক্তি উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে সাপ্লাই চেইন (সরবরাহ ব্যবস্থা) সম্পূর্ণভাবে বিঘ্নিত হওয়ার উপক্রম। এতে উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আগামীতে পণ্য-সামগ্রী সঠিকভাবে সরবরাহ ও বাজারজাত না হলে পণ্যের মূল্য বাড়বে। এতে স্বল্প আয়ের ক্রেতারা ভোগান্তির শিকার হবেন। পাশাপাশি রপ্তানি খাতের উৎপাদন ব্যবস্থা বন্ধ থাকলে সময়মতো পরবর্তী রপ্তানি অর্ডার অনুযায়ী সাপ্লাই দেওয়া সম্ভব হবে না। এতে রপ্তানি অর্ডার বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে '

তিনি আরও বলেন, 'সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব ও দিক-নির্দেশনায় বিদ্যমান বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতির মধ্যেও দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম সচল রয়েছে এবং জাতীয় প্রবৃদ্ধি ছয় দশমিক এক শতাংশ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। যদি উৎপাদন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়, তাহলে অর্থনীতির চলমান গতিধারা ব্যাহত হবে। জীবন ও জীবিকার মধ্যে সমন্বয়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক কার্যক্রমকেও সচল রাখতে উৎপাদন ব্যবস্থাকে সচল রাখা জরুরি। বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে জীবন রক্ষাকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ প্রেক্ষাপটে শিল্প-কারখানাকে বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রেখে উৎপাদন প্রক্রিয়াকে সচল রাখতে হবে।'

'ক্ষুদ্র ও ছোট কারখানাগুলো বন্ধ রাখায় উদ্যোক্তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কারখানাগুলো পুনরায় চালু রাখা অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে। এ অবস্থায় রপ্তানি ও উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারগুলো শিল্প-কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম সচল রাখার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্যে এফবিসিসিআইর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে', যোগ করেন তিনি।

আজকের বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম, বিকেএমইএ সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান, এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, বিজিএমইএ সভাপতি মো. ফারুক হাসান, ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রহমান, এফবিসিসিআইর সাবেক সহসভাপতি ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিটিএমএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল হক প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English

The story of Gaza genocide survivor in Bangladesh

In this exclusive interview with The Daily Star, Kamel provides a painful firsthand account of 170 days of carnage.

1d ago