বাংলাদেশ ‘জাহাজ ক্রেতা জাতি’ থেকে ‘জাহাজ নির্মাণকারী জাতি’ হতে চায়
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, বাংলাদেশ 'জাহাজ ক্রেতা জাতি' থেকে 'জাহাজ নির্মাণকারী জাতি' হতে চায়। সোমবার নিজ কার্যালয়ে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পটুয়াখালীতে পায়রা বন্দরের কাছে একটি আন্তর্জাতিকমানের জাহাজ নির্মাণ কারখানা (শিপইয়ার্ড) স্থাপনে বিনিয়োগে আগ্রহী সিংগাপুর-অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জেন্টিয়াম সলিউশনস ও ডাচ প্রতিষ্ঠান ডামেন শিপইয়ার্ডস গ্রুপের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ সভা অনুষ্ঠিত হয় বলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সভায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দর এলাকায় জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ মেরামত শিল্প গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রস্তাবিত এই প্রকল্পটি চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয় বা বিএসইসি পায়রা বন্দর সংলগ্ন এলাকায় জমির ব্যবস্থা করবে।'
বিশ্বমানের জাহাজ নির্মাণ কারখানা স্থাপনে সরকার সম্ভাব্য সব ধরণের সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি।
ওই দুই প্রতিষ্ঠান পায়রায় শিপইয়ার্ড স্থাপনে যৌথভাবে ১ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে এটিই হবে সর্বোচ্চ সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের সঙ্গে সাক্ষাতকালে জেন্টিয়াম সলিউশনসের উপদেষ্টা সাবেক সচিব মো. কায়কোবাদ হোসেন এবং ডামেন গ্রুপের নেভাল প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন পরিচালক ইফ ভ্যান ডেন ব্রোয়েক ও ডামেন শিপইয়ার্ডসের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক রাবিয়েন বাহাদুয়ের এ বিষয়ে প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
এ সময় বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশন (বিএসইসি) এবং জেন্টিয়াম ও ডামেনের মধ্যে সম্পাদিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় সম্ভ্যাব্যতা যাচাই রিপোর্ট শিল্পমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধিরা বলেন, 'জাহাজ নির্মাণ শিল্পে প্রচুর শ্রমিকের দরকার হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রথম পর্যায়ে আঞ্চলিক ও স্থানীয় প্রায় ২ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। জেন্টিয়াম-ডামেনের মতো বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করে বাংলোদেশের শ্রমিকরা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ পাবে।'
Comments