অস্ট্রেলিয়া নেতিবাচক কিছু করবে না, আশায় আছে বিসিবি

করোনাভাইরাস ভীতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে দ্বিতীয় ওয়ানডে শেষ মুহূর্তে স্থগিত হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়। অন্তত অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমগুলোর খবর এমনই। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) মনে করছে কোন নেতিবাচক চিন্তার দিকে যাবে না অস্ট্রেলিয়া। সময়মতই বাংলাদেশে খেলতে আসবে তারা।

ব্রিজটাউনে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নামার কথা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়ার। ম্যাচে টসও হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ করে জানা যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের একজন সাপোর্ট স্টাফের কোভিড পজিটিভ এসেছে। তাতেই ম্যাচ বন্ধ করে হোটেলে ফেরত চলে যায় অজিরা।

এখন পর্যন্ত খবর, অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা সবাই আইসোলেশনে আছেন। আরেক দফা কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ এলে তবেই পরের ম্যাচের কথা ভাবা হবে।

তবে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড ও দ্য মেলবোর্ন এজ তাদের খবর জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজের বাকি ম্যাচ ও বাংলাদেশ সফর এখন সংশয়ে অস্ট্রেলিয়ার। গণমাধ্যম দুটি বাংলাদেশের চলমান করোনা পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগের কথা লিখেছে।

এই বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানান তারা আশাবাদী সব কিছু সময়মতই হবে,  'আমাদের সঙ্গে কাল পর্যন্ত যোগাযোগ হয়েছে। সব কিছু ঠিক আছে।  এই ঘটনার পর নতুন করে আর যোগাযোগ হয়নি। তারাও কিছু জানায়নি। তাদের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংশয়ের কথা আমরা দেখেছি। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া আমাদের কিছু বলেনি। আমরা আশা করছি সিরিজটি নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সময়মতই হবে।'

এবার বাংলাদেশে কড়া কিছু শর্ত দিয়ে খেলতে আসছে অস্ট্রেলিয়া। কঠোর সুরক্ষা বলয় বহাল রাখতে ক্রিকেটার, আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি সবাইকে অন্তত ১০ দিন আগে কোয়ারেন্টিনে প্রবেশ করতে হবে। জিম্বাবুয়ে সফরে সুরক্ষা বলয়ে থাকা বাংলাদেশ দল দেশে ফিরেই তাই হোটেলে আরেকটি বলয়ে ঢুকবে।

পারিবারিক কারণে জিম্বাবুয়ে সফরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি না খেলে দেশে ফেরা মুশফিকুর রহিম বলয়ের বাইরে চলে আসায় খেলতে পারছেন না অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। বিসিবি অনুরোধ করেও মুশফিকের ব্যাপারে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে রাজী করাতে পারেনি।