বেলজিয়ামকে হারিয়ে নেশন্স লিগে তৃতীয় ইতালি

গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ইতালিকে এগিয়ে দিলেন নিকোলো বারেল্লা। পরে পেনাল্টি থেকে দমেনিকো বেরার্দির লক্ষ্যভেদে ব্যবধান দ্বিগুণ করল আজ্জুরিরা। শেষদিকে চার্লস ডি কেটেলিয়ার এক গোল শোধ করে উত্তেজনা বাড়ালেও ফেরা হলো না বেলজিয়ামের। তাদেরকে হারিয়ে উয়েফা নেশন্স লিগে তৃতীয় স্থান পেল রবার্তো মানচিনির দল।
তুরিনের জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে রবিবার বেলজিয়ামকে ২-১ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিক ইতালি।
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ হওয়ায় দুই দলই তাদের তারকা খেলোয়াড়দের বেশিরভাগকে মূল একাদশে রাখেনি। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও রোমাঞ্চের কমতি ছিল না লড়াইয়ে।
বল দখলে অনেকটা এগিয়ে থাকা বেলজিয়াম গোলমুখে ১৩টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে চারটি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাদের তিনটি প্রচেষ্টা বাধা পায় ক্রসবারে কিংবা গোলপোস্টে। অন্যদিকে, ইতালির ১২টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল পাঁচটি।
১৮তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাধারী ইতালি। বেরার্দির ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া শট বেলজিয়ামের জেসন দেনায়ারের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়াতে যাচ্ছিল। পরে ঝাঁপিয়ে বল ঠেকান গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া।
সাত মিনিট পর অ্যালেক্সিস সালেমায়েকার্সের শট ক্রসবারে লেগে ফিরলে হতাশ হতে হয় বেলজিয়ানদের। বিরতির ঠিক আগে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন ফেদেরিকো কিয়েসা। ডি-বক্সের ভেতরে কোর্তোয়াকে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি তিনি। তার শট প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের পায়ে লেগে বাইরে চলে যায়।
বিরতির পর খেলা শুরুর প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যায় ইতালিয়ানরা। দারুণ ভলিতে নিশানা ভেদ করে স্বাগতিক সমর্থকদের উল্লাসে মাতান বারেল্লা। ৬০তম মিনিটে ফের ভাগ্য সহায় হয়নি বেলজিয়ামের। দুরূহ কোণ থেকে মিশি বাতসুয়াইর শট ক্রসবারে লাগে।
পাঁচ মিনিট পর সফল স্পট-কিক থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বেরার্দি। ডি-বক্সে কিয়েসা ফাউলের শিকার হওয়ায় পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। ৮২তম মিনিটে ইয়ান্নিক কারাসকোর শট পোস্টে লাগলে ফের গোলবঞ্চিত হয় বেলজিয়াম।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা রেড ডেভিলরা ব্যবধান কমায় ৮৬তম মিনিটে। বদলি কেভিন ডি ব্রুইনের পাসে ইতালিয়ান গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমাকে পরাস্ত করে বল জালে পাঠান ডি কেটেলিয়ার। এরপর অবশ্য সমতায় ফেরা হয়নি বেলজিয়ামের।
Comments