চাপ সামলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার শুভ সূচনা

আসরের সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
ছবি: টুইটার

উইকেটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অল্প রানে বেঁধে ফেলল অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় এক পর্যায়ে পথের দিশা হারিয়ে চাপে পড়ল অ্যারন ফিঞ্চের দলও। তবে স্টিভ স্মিথের প্রতিরোধের পর মার্কাস স্টয়নিস ও ম্যাথু ওয়েডের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয়ের স্বস্তি ও তৃপ্তি নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করল অজিরা।

শনিবার আবুধাবিতে আসরের সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ফল দেখে যা-ই মনে হোক না কেন, সহজে আসেনি এই জয়। মাত্র দুই বল বাকি থাকতে ফয়সালা হয় ম্যাচের।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১১৮ রানের মামুলি সংগ্রহ গড়ে প্রোটিয়ারা। জবাবে ১৯.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১২১ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া।

স্মিথ ৩৪ বলে ৩৫ রান করেন তিন চারের সাহায্যে। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে আসে ২৬ বলে ৪০ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। স্টয়নিস অপরাজিত থাকেন ১৬ বলে ২৪ রানে। তার সঙ্গী ওয়েড মাঠে ছাড়েন ১০ বলে ১৫ রানে। এর আগে জস হ্যাজেলউড ১৯ ও অ্যাডাম জ্যাম্পা ২১ রানে নেন দুটি করে উইকেট। একটু খরুচে ছিলেন মিচেল স্টার্ক। তিনি দুই উইকেট নিতে দেন ৩২ রান। আঁটসাঁট বোলিং করা প্যাট কামিন্স ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল শিকার করেন একটি করে উইকেট।

প্রথম ওভারে বাঁহাতি পেসার স্টার্ককে টানা দুই চার মেরে আত্মবিশ্বাসী শুরুর আভাস দেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। পরের ওভারেই অবশ্য অনিয়মিত স্পিনার ম্যাক্সওয়েলের শিকার হয়ে ফিরতে হয় তাকে। এরপর রাসি ভ্যান ডার ডাসেনকে টিকতে দেননি হ্যাজেলউড। তার পরের ওভারে কুইন্টন ডি কক বোল্ড হন স্কুপ করতে গিয়ে।

পঞ্চম ওভারে ২৩ রানে ৩ রানে হারিয়ে ফেলার ধাক্কা সামলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। কোনো জুটি গড়ে না ওঠায় নিয়মিত বিরতিতে চলে উইকেটের পতন। হেইনরিখ ক্লাসেনকে প্যাট কামিন্স বিদায় করার পর ইনিংসের ১৪তম ওভারে জোড়া শিকার ধরেন লেগ স্পিনার জ্যাম্পা। ডেভিড মিলার ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগে হন এলবিডাব্লিউ। তিন বলের মধ্যে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের ক্যাচ লুফে নেন উইকেটরক্ষক ম্যাথু ওয়েড।

অন্য প্রান্তে উইকেট পতনের মিছিল চলাকালে একাই লড়াই চালান এইডেন মার্করাম। স্টার্কের বলে ম্যাক্সওয়েলের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে তিনি করেন সর্বোচ্চ ৪০ রান। তার ৩৬ বলের ইনিংসে ছিল তিন চার ও এক ছক্কা। ২৩ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন কাগিসো রাবাদা।

ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। পেসার আইনরিখ নরকিয়ার বলে থার্ড ম্যানে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে আউট হন ফিঞ্চ। ভালো কিছুর আভাস দিয়ে পাওয়ার প্লেতে ফিরে যান আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারও। কেশব মহারাজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিচেল মার্শ বিদায় নিলে বিপদ বাড়ে তাদের।

অষ্টম ওভারে ৩৮ রানে ৩ উইকেট খোয়ানোর পর প্রতিরোধে নামেন স্মিথ ও ম্যাক্সওয়েল। তারা চতুর্থ উইকেটে যোগ করেন ৪২ বলে ৪২ রান। মার্করামের দুর্দান্ত ডাইভিং ক্যাচে স্মিথ মাঠ ছাড়লে ব্রেক থ্রু পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই বল পর তাবরাইজ শামসিকে সুইচ হিট করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান ম্যাক্সওয়েল।

পরপর দুই উইকেট তুলে নিয়ে অজিদের ভয় ধরিয়ে দেয় প্রোটিয়ারা। কিন্তু অল্প পুঁজি নিয়ে শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি তারা। নরকিয়া দুই উইকেট নেন ২১ রানে। ইনিংসের ১৯তম ওভারে স্টয়নিসের দুরূহ ফিরতি ক্যাচটা তিনি নিতে পারলে অন্যরকম হতে পারত পরিস্থিতি। সেই স্টয়নিসই শেষ ওভারে প্রিটোরিয়াসকে দুই চার মেরে অস্ট্রেলিয়াকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেন।

Comments

The Daily Star  | English

Schools, Colleges: A reopening that defies heatwave, logic too

The reopening of educational institutions amid the heatwave was marred by two teachers’ deaths and dozens of students becoming sick.

31m ago