তাসকিনের তোপে বিপদে দক্ষিণ আফ্রিকা

Taskin Ahmed
ফাইল ছবি

তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে আগেই আসে খবরটা। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ডাক পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ। তবে খেলার সুযোগ হয়নি বিসিবির নিষেধাজ্ঞায়। ক্ষোভ হয়তো প্রোটিয়াদের উপর উগলে দেওয়ার সংকল্প করেছিলেন। তার আগুন ঝরানো বোলিংয়ে রীতিমতো বিপদে দক্ষিণ আফ্রিকা। তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফাইফার।

বুধবার সেঞ্চুরিয়নে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩১ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩২ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কেশভ মহারাজ ৯ ও লিঙ্গি এনগিডি ০ রানে উইকেটে আছেন।

দ্বিতীয় স্পেলে যেন আরও বেশি জ্বলে ওঠেন তাসকিন। বল হাতে নিয়েই ফেরান ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে। উইকেটে নেমেই চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় কিছুটা হাত খুলে খেলার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন এ ব্যাটার। একটি চারের সঙ্গে দারুণ একটি ছক্কাও হাঁকান তিনি। তবে বড় ক্ষতি করার আগেই তাকে ছাঁটাই করেন তাসকিন। তার বলে ড্রাইভ করতে গেলে ব্যাটার কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে। ২৯ বলে ২০ রান করেন প্রিটোরিয়াস।

পরের ওভারে তো দুর্দান্ত তাসকিন। মিডল অর্ডার ধসিয়ে দেওয়ার পর শেষ স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে চেষ্টা চালিয়েছিলেন ডেভিড মিলার। তাকে ছাঁটাই করে লেজ বের করে আনেন তাসকিন। তার বলে শর্ট বলে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মিলার। ৩১ বলে ২টি চারের সাহায্যে ১৬ রান করেন তিনি।

সে ওভারেই কাগিসো রাবাডাকে ফিরিয়ে ফাইফার পূরণ করেন তাসকিন। তার আগের বলেই বাউন্ডারি মেরেছিলেন রাবাডা। অফস্টাম্পের বাইরে ফুলার লেন্থে রাখা পরের বলে ডারিভ করতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় সেই মুশফিকের হাতে। তাসকিনের বলেই চতুর্থ ক্যাচ লুফে নেন এ উইকেটরক্ষক।

এর আগে প্রথম উইকেটে কিছুটা ভাগ্যবান ছিলেন তাসকিন। উইকেটে নেমে দেখেশুনেই ব্যাট করছিলেন কাইল ভেরেইনা। তাসকিনের ডেলিভারিটি আহামরি কিছু ছিল না। অফস্টাম্পের বেশ বাইরে থাকা বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যাটের নিচের দিকের কানায় লাগিয়ে বোল্ড হন ভেরেইনা। ১৬ বলে ১টি চারে ৯ রান করেন তিনি।

এরপর ফেরান মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ানো ইয়েনামান মালানকে। রানের গতি সচল রেখে নিয়মিত মারছিলেন বাউন্ডারি। নিখুঁত এক বাউন্সারে তাকে পরাস্ত করেন তাসকিন। খাটো লেন্থের বলটি অফস্টাম্পের কিছুটা বাইরে ছিল। বাইরে থেকে খোঁচা মারতে গিয়ে ভুলটা করে ফেলেন মালান। বল চলে যায় উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে। ঝাঁপিয়ে অবশ্য দারুণ ক্যাচ ধরেছেন মুশফিক। ৫৬ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৩৯ রান করেন এ ওপেনার।

তবে প্রথম ব্রেক থ্রুটা এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আগের দিন প্রোটিয়াদের জয়ে উড়ন্ত সূচনা এনে দেওয়া ডি কককে ফেরান তিনি। কাভার দিয়ে একটি চার মারার পরের বলে হাঁকাতে গিয়েছিলেন লংঅফের উপর দিয়ে। টাইমিংয়ে হেরফের হওয়ায় সহজ ক্যাচ লুফে নেন মাহমুদউল্লাহ। ৮ বলে ২টি চারের সাহায্যে ১২ রান করেন ডি কক।

দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে প্রোটিয়া পেসারদের অতিরিক্ত বাউন্সে নাস্তানুবাদ হয়েছিল টাইগাররা। শরিফুল সেই এক্সট্রা বাউন্সের ফাঁদে ফেলেন রাসি ফন ডার ডাসেনকে। তার অফস্টাম্পের বাইরে গুড লেন্থের বলে খেলতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে মেহেদী হাসান মিরাজকে সহজ ক্যাচে পরিণত হন তিনি। ১০ বলে ৪ রান করেন ডাসেন।

তার আগের ওভারেই প্রোটিয়া অধিনায়ককে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সাকিব। তার বলে সুইপ করতে যান বাভুমা। আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক। ১১ বলে করেন ২ রান।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

10h ago