‘এখনো যেকোনো কিছুই হতে পারে’

চট্টগ্রাম টেস্টের শেষ দিনে অসম্ভবের আশায় বাংলাদেশ। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বলা যায় পঞ্চম দিনে বাকি আনুষ্ঠানিকতা। হাতে ১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জিততে পাকিস্তানকে করতে হবে কেবল ৯৩ রান। ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা হলেও এই ৯৩ রানের মধ্যে বাকি ১০ উইকেট তুলে বাংলাদেশের জেতার আশা বাড়াবাড়িই বলা চলে। তবে হাল ছাড়ছেন না বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তার মতে ব্যাপারটা কঠিন হলেও ক্রিকেটে যেকোনো কিছুই সম্ভব।

মূলত তৃতীয় দিনের শেষ বিকেল চতুর্থ দিনের শেষ দুই সেশনে ম্যাচ হেলে গেছে পাকিস্তানের দিকে। প্রথম ইনিংসের ৪৪ রানের লিড নেওয়ার পরও খেলার লাগাম ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫ রানেই হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট।

সোমবার চতুর্থ দিন সকালে নেমে শুরুতেই বিদায় নেন মুশফিকুর রহিম। পরে ইয়াসির আলি ও লিটন দাসের ব্যাটে ফের জেগেছিল সম্ভাবনা। ইয়াসিরের আঘাত পেয়ে ছিটকে পড়া ও লিটনের ফিফটিতে পর আউটে বদলে যায় ছবি। বাকিরা কেউ আর দাঁড়াতে পারেননি।

২০২ রানের পুঁজি নিয়ে বোলাররা ছিলেন মলিন। পাকিস্তানের দুই ওপেনারই তুলে ফেলেছেন ১০৯ রান। এই ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে বাজি ধরতে দুনিয়ার সবচেয়ে আশাবাদীরও সাহস হওয়ার কথা না।

দিনের খেলা শেষে অবশ্য প্রধান কোচ ডমিঙ্গো নিজেকেই বসালেন তেমন আশাবাদী জায়গায়,  'ছেলেরা যেভাবে লড়াই করেছে তাতে আমি গর্বিত। তারা নিজেদের প্রমাণ করেছে। পাকিস্তান খেলায় অনেকখানি এগিয়ে। তাদের আর ৯৩ রা দরকার। কাজেই বিশেষ কিছুর অপেক্ষা করতে হবে। টেস্ট ক্রিকেটে যেকোনো কিছুই হয়। আমাদেরও সম্ভাবনা আছে ভেবে কাল সকালে আসব। আমরা যদি প্রথম আধঘণ্টায় দুই-তিন উইকেট নিতে পারি, যেকোনো কিছুই হতে পারে।'

চট্টগ্রাম টেস্টের আগে বেশ বিধ্বস্ত ছিল বাংলাদেশ দলের অবস্থা। সেদিক থেকে পারফরম্যন্স খুব একটা খারাপ বলা যায় না। তবে জেতার আশা জাগিয়েও সেটা ধরে রাখতে না পারার আক্ষেপ ডমিঙ্গোর কণ্ঠে,  'প্রথম দুদিন আমরা ভালো অবস্থায় ছিলাম। তৃতীয় দিনের বেশিরভাগ সময় আমাদের পক্ষে ছিল। তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে আমরা ভাল ব্যাট করতে পারিনি। এটাই আমাদের বড় চাপে ফেলে দেয়। এটা দেখা হতাশার। আমরা ভেবেছিলাম আমরা শেষ পর্যন্ত ভাল খেলব। প্রথম ইনিংসে আমরা লড়াকু পুঁজি পেয়েছিলাম। আমার মনে হয় স্পিনার ও পেসাররা ভাল পুঁজি এনে দিয়েছিল। কাল একটা ভয়ংকর শেষ সেশনে সব উলট পালট হয়ে গেছে, আমরাও চাপে পড়ে যাই।'

Comments

The Daily Star  | English

People cautioned of travelling to India, affected countries as Covid spreads

DGHS has also instructed to enhance health screening and surveillance measures at all land, river, and airports

4h ago