পাকিস্তানের ভালো শুরুর পর তাইজুলের ছোবল

শনিবার মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম সেশনে আগে ব্যাটিং নেওয়া পাকিস্তান করেছে ২ উইকেটে ৭৮ রান। বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেটই নিয়েছেন তাইজুল।
তাইজুলের বলে বোল্ড হচ্ছেন আব্দুল্লাহ শফিক। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আবারও পাকিস্তানকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন তাদের দুই ওপেনার। আবার আভাস ছিল হতাশার এক সেশনের। তবে দ্বিতীয় ঘণ্টায় ঘুরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশেকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। দুই ওপেনারকেই বোল্ড করে বিদায় করেছেন তিনি।

শনিবার মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম সেশনে আগে ব্যাটিং নেওয়া পাকিস্তান করেছে ২ উইকেটে ৭৮ রান। বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেটই নিয়েছেন তাইজুল।

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে আকাশ ছিল মেঘলা। তাতে বোলিং পেয়ে শুরুতে সেটা কাজে লাগানোর একটা বড় সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। প্রথম ওভারেই সে আভাস দিয়েছিলেন ইবাদত হোসেন। তবে আলগা বল করে চাপ সরিয়ে দেন সৈয়দ খালেদ আহমদ। উদ্বোধনী জুটিতে আবারও ভাল শুরু পেয়ে যায় পাকিস্তান।

আগের টেস্টে দুই ইনিংসেই ঝলক দেখানো আবিদ আলি ছিলেন সাবলীল, নিয়ন্ত্রিত। আব্দুল্লাহ শফিকও হয়ে গিয়েছিলেন থিতু। সাকিব আল হাসান এসেও তাদের আলগা করতে পারেননি। প্রথম ঘণ্টায় কোন সুযোগই দেননি তারা।

Taijul Islam
উইকেট নিয়ে তাইজুলের উল্লাস। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রথম ঘণ্টার পার হয়ে যাওয়ার পর সাফল্য ধরা দেয় বাংলাদেশের। আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বোলিং হিরো তাইজুল ইসলাম ভেতরে ঢোকা এক ডেলিভারিতে বোকা বানান শফিককে। পাকিস্তানের ওপেনারের ব্যাট-প্যাডের মধ্যে ফাঁক ছিল বিস্তর। এরমাঝ দিয়ে বল ভেঙ্গে দেয় স্টাম্প। ১৯তম ওভারে গিয়ে ৫৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা। এরপরের খানিকটা সময় দারুণ বল করতে থাকেন তিনি।

আজহার আলিকেও ফিরিয়ে দেওয়ার কাছে চলে গিয়েছিলেন। তবে কট বিহাইন্ডের আবেদন রিভিউ নিয়েও সফল হয়নি বাংলাদেশ। পরের ওভারেই আসে সবচেয়ে বড় উইকেট। আগের ম্যাচে পাকিস্তানের ব্যাটিং হিরো আবিদকে ছেঁটে ফেলেন তাইজুল। তার সোজা বল কাট করতে গিয়ে প্লেইড অন হয়ে যান আবিদ।

৭০ রানের দ্বিতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান। ৮১ বল খেলে ৩৯ রানে থামেন আবিদ। দুই অভিজ্ঞ আজহার আলি ও বাবর আজম অপরাজিত থেকে শেষ করেন সেশন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ৩১ ওভার ৭৮/২   ( আবিদ ৩৯  , শফিক ২৫, আজহার ৬*, বাবর ৮*  ; ইবাদত ০/১৫, খালেদ ০/১৯, সাকিব ০/১৬, তাইজুল ২/২৮) 

Comments

The Daily Star  | English
Impact of esports on Bangladeshi society

From fringe hobby to national pride

For years, gaming in Bangladesh was seen as a waste of time -- often dismissed as a frivolous activity or a distraction from more “serious” pursuits. Traditional societal norms placed little value on gaming, perceiving it as an endeavour devoid of any real-world benefits.

18h ago