‘লিটন ভাল করলে মনে হয় ব্যাট করা কত সহজ’

Liton Das
শতরানের পথে লিটনের শট। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর এই পাকিস্তান সিরিজেই টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়েন লিটন দাস। টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতিটা তাই তার শুরু হয় একটু আগেই। ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স জানান জাতীয় লিগে এক রাউন্ড খেলার পর চট্টগ্রাম এসে কিছু টেকনিক্যাল অদল-বদল এনেছেন, ক্রিজে আরও  ভারসাম্য পাচ্ছেন তিনি। এসব বদলের ফলও এসেছে ইতিবাচক। প্রিন্স মনে করেন লিটনের দিনে বোঝা যায় ব্যাটিং আসলে সহজ কাজ।

শুক্রবার চট্টগ্রামে ৬ নম্বরে নেমে লিটন ব্যাট করেছেন অথরিটি নিয়ে। রক্ষণে ছিলেন নিখুঁত, শট খেলতে দেখা গেছে আত্মবিশ্বাসের স্ফুরণ।

টেস্টে তিনি ছন্দেই ছিলেন। শেষ টেস্টেও করেন ৯৫ রান। চলতি বছর কিপার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড়ও লিটনেরই। কিন্তু সব শেষ টেস্টটা যে চার মাস আগে। এর মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিস্মৃত করে ফেলেছে সব কিছু।

লিটনের মনেও টি-টোয়েন্টির প্রভাব পড়া অমূলক নয়। নানান রকম সমালোচনার স্রোতে হতাশার চোরাবালিতেও ডুবে যাওয়া অস্বাভাবিক ছিল না।  কিন্তু জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তার ব্যাটে দেখা যায়নি তেমন কিছু। ছয় নম্বরে যখন ক্রিজে আসেন স্কোরবোর্ডে ৪৯ রানে নেই ৪ উইকেট। ব্যাট করার জন্য উইকেট ভালো হলেও পরিস্থিতি ছিল বেশ প্রতিকূল। পঞ্চম উইকেটে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে লিটনের জুটিতে আসে ২০৪ রান। প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করে লিটন অপরাজিত ১১৩ রানে।

১১ চার, ১ ছয়ের ইনিংসটা দ্বিতীয় দিনে আরও টেনে নেওয়ার সুযোগ আছে। তবে এই পর্যন্ত যা হয়েছে তাতে বেশ কিছু প্রশ্নের জবাবও দেওয়া হয়েছে লিটনের। এগিয়ে যাওয়ার পথে জড়ো হয়েছে বিশ্বাস। টেস্ট ব্যাটিংকে নতুন ধাপে নিয়ে যাওয়ার পথে এটাই হতে পারে লিটনের আরেক শুরু।

এমন এক দিনশেষে তৃপ্তির হাসি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে প্রিন্স জানান সেরা সময়ের লিটন মানেই আনন্দময় কিছু , 'তার ব্যাটিং দেখা দারুণ আনন্দের ব্যাপার। যখন সে ভাল করে মনে হয় ব্যাট করা কত সহজ।'

টেস্টে ছন্দে থাকলেও গত কদিনের প্রভাবে যে আলাদা কিছু কাজ করতে হয়েছে তা অস্বীকার করেননি। প্রিন্স জানান স্ট্যান্সে কিছুটা বদল এনেছেন লিটন, ক্রিজে আরও ভারসাম্য পাচ্ছেন তিনি,  'টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে আমি তাকে কিছু বলিনি। সে এখানে আগেভাগে এসে টেস্টের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে। আমরা কিছু টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে কাজ করেছি। খুব বেশি কিছু না। তার  স্ট্যান্স একটু বদল হয়েছে। মূলত কিছু অ্যালাইমেন্ট একটু উন্নত করা হয়েছে। আমার মনে হয় ক্রিজে সে এখন আরও ভাল ভারসাম্য পাচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English
Sector-wise subsidy and incentive allocation

Subsidy load swells despite weak revenue

The government’s target to provide subsidies and incentives amounting to Tk 125,741 crore in fiscal year 2025-26 is creating high pressure on fund mobilisation amid a challenging macroeconomic situation.

12h ago