জাবি ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে সাবেক নেতাকে মারধরের অভিযোগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সংগঠনটির বর্তমান কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে।

এ ঘটনার বিচার দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ফয়সাল হক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ছিলেন।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সামনে আল বেরুনী হলের মাস্টার্স ও চতুর্থ বর্ষের ছাত্রলীগ কর্মীরা তাকে মারধর করেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। নিয়মানুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

অভিযুক্তরা হলেন-পরিসংখ্যান বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের নওশাদ হোসেন সুজন, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের অভিক ব্যানার্জি ও ৪৬ তম ব্যাচের সোহেল রানা, ইতিহাস বিভাগের মোহাইমিনুল ইসলাম, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের জোবায়েদ আশিক, সুজন মাহমুদ, শহিদুল রনি, মোফাজ্জল হোসেন কাওসার এবং দর্শন বিভাগের আব্দুর রহিম ও রাজিবুল হক পান্থ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সন্ধ্যার দিকে বান্ধবীর সঙ্গে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ চত্বরের সামনে যান ফয়সাল হক। এ সময় পরিসংখ্যান বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নওশাদ হোসেন সুজনসহ ১০-১৫ জন সেখানে যান। তারা ফয়সালকে ডেকে নিয়ে চত্বর সংলগ্ন পুকুর পাড়ে নিয়ে কিল-ঘুষি দেন।

এ সময় ফয়সালের বান্ধবী মারধর ঠেকাতে গেলে তাকেও লাঞ্ছিত করেন অভিযুক্তরা।

পরে ঘটনাস্থলের আশেপাশে থাকা কয়েকজন ফয়সালকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান।

ভুক্তভোগী ফয়সাল হক সাংবাদিকদের বলেন, 'ছাত্রত্ব শেষ হয়ে যাওয়ায় আমি হল ছেড়ে দিয়েছি। এরপর পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী এনামুল হক আমাকে নানাভাবে হুমকি দেন, যেন আমি ক্যাম্পাসে না আসি। সেই জেরেই আজ ক্যাম্পাসে এসেছি বলে আমাকে পিটিয়েছে।'

ফয়সালের অভিযোগ, ঘটনার সময় তার বান্ধবীর গলায় থাকা সোনার চেইন ছিনতাই করেছে অভিযুক্তরা।

তবে এনামুল হকের দাবি তিনি ও তার অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মীদের কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।

এনামুল হক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ফয়সাল হল থেকে বিতাড়িত হয়েছে। এ ছাড়া আরও কিছু ঘটনার কারণে সে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত। এসব কারণে সে আমাদের বিরুদ্ধে দোষারোপ করছে।'

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে মারধর হয়ে থাকতে পারে। ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না।'

Comments

The Daily Star  | English

Step up diplomacy as US tariff clock ticks away

Bangladesh must intensify trade diplomacy to protect garment exports from steep US tariffs as the clock runs down on a three-month reprieve, business leaders warned yesterday.

10h ago