ক্যাম্পাস

জাবিতে সশরীরে পরীক্ষা স্থগিত, খোলা থাকবে হল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সশরীরে চলমান সব পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে, খোলা থাকবে আবাসিক হলগুলো।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সশরীরে চলমান সব পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে, খোলা থাকবে আবাসিক হলগুলো।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জরুরি প্রশাসনিক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন  বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক রাশেদা আখতার।

তিনি বলেন, 'আবাসিক হল খোলা থাকবে। শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলে অবস্থান করবে। ফাইনাল পরীক্ষা ছাড়া অনলাইনে চলবে সব শিক্ষা কার্যক্রম। ক্লাস, টিউটোরিয়াল, এসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন ইত্যাদি অনলাইনে নেওয়া যাবে। তবে, ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। যাদের রুটিন হয়েছে তাদের নতুন করে রুটিন করতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসগুলো সীমিত পরিসরে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে। লাইব্রেরি খোলা থাকছে, তবে ভেতরে বসে পড়ার সুযোগ পাবেন না শিক্ষার্থীরা। কিন্তু, বই নেওয়া যাবে লাইব্রেরি থেকে। ক্যাফেটেরিয়া সকাল ৮টা থেকে ১০টা এবং ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

এ ছাড়া, জরুরি পরিষেবাসমূহ (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ইন্টারনেট, স্বাস্থ্যসেবা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি) যথারীতি অব্যাহত থাকবে। শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ হলগুলোতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অবস্থান করার পরামর্শ দেওয়া হয় বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, 'আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পরবর্তীতে আমরা আবার বসে সিদ্ধান্ত নেব।'

এর আগে, গত ৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সশরীরে ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় জাবি প্রশাসন। তখন চলমান পরীক্ষা ও ব্যবহারিক ক্লাসগুলো যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়।

উল্লেখ্য, আজ শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ সম্মেলনে দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় স্কুল-কলেজ ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দু'সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

Comments

The Daily Star  | English

Will there be any respite from inflation?

To many, especially salaried and fixed-income individuals, this means they will have no option but to find ways to cut expenditures to bear increased electricity bills.

5h ago