ফারহানা বাতেনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না আসায় আবারও অনশনে শিক্ষার্থীরা

সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ছাত্রের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় আবারও আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।
ravindra_university_23oct21.jpg
ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ছাত্রের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় আবারও আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ শনিবার সকালে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র নাজমুল হাসান পাপন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ছাত্রের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনা তদন্ত শেষে গত ২১ অক্টোবর প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। ২ দফা সময় নেওয়ার পরও অভিযোগের বিষয়ে নিজের মতামত জানাননি ফারহানা বাতেন।

ওই ঘটনায় গতকাল বিকেলে সিন্ডিকেট সভায় আলোচনা হয়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি জানার পরে রাত ৯টার দিকে শিক্ষার্থীরা আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন। ফারহানা বাতেনের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে এক পর্যায়ে তারা একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। তাদের মধ্যে ৭ শিক্ষার্থী অনশন শুরু করেন।

নাজমুল হাসান আরও বলেন, আমরা সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি। এর আগে আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল এই ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই আশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেছিলাম। গতকাল সিন্ডিকেট সভায় আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যে কারণে আমরা আবারও আন্দোলন শুরু করতে বাধ্য হয়েছি।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. সোরহাব আলী বলেন, গতকাল সিন্ডিকেট সভা হলেও সেখানে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না।

বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রক্টর রওশন আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, এই ঘটনাটি সিন্ডিকেট সভায় আলোচনা হয়েছে। এই পর্যায়ে এসে আমাদের আর কিছু বলার নেই। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের শান্ত হতে বলছি কিন্তু তারা বিক্ষোভ ও অনশন করছে।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস সংস্কৃতি ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের ১৪ জন শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় ওই বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র নাজমুল হোসেন তুহিন (২৫) ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পরে অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী বহিষ্কার দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন।

Comments