কুতুবদিয়ায় জোয়ারের পানিতে বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ ১০ গ্রাম প্লাবিত

দেশের মূল-ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলায় পূর্ণিমার প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যাওয়া সাগরের জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম।
জোয়ারের পানিতে কুতুব্দিয়া দ্বীপের একমাত্র বায়ুচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকা তাবালের চরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

দেশের মূল-ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলায় পূর্ণিমার প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যাওয়া সাগরের জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম।

আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে ঝড়ো বৃষ্টির সঙ্গে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হয়। এতে উপকূলীয় বেড়িবাঁধের একাধিক ভেঙ্গে যাওয়া অংশ দিয়ে সাগরের লবণাক্ত পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে।

জোয়ারের পানিতে দ্বীপের একমাত্র বায়ুচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকা তাবালের চরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে লবণের মাঠসহ ১০টি পাড়া। তলিয়ে যাওয়া বাড়িঘরের লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুচ্ছফা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উপকূলীয় বেড়িবাঁধ না থাকায় ইউনিয়নের কাহারপাড়া, কিরণপাড়া, কাজীপাড়া, টেকপাড়া, তেলিপাড়া, সাগর পাড়া, নাছিয়ার পাড়া, হকদার পাড়া, হায়দার পাড়া, পন্ডিত পাড়া ও বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকা বেশি প্লাবিত হয়েছে। লোকালয়ে চলে আসা পানিতে বেশ কিছু বাড়িঘর তলিয়ে গেছে।'

দুর্গত এসব বাসাবাড়ির ৩০ পরিবার টেকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কুতুব আউলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরের জামান চৌধুরী। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে জানান।

স্থানীয় সংবাদকর্মী আব্বাস সিদ্দিকী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রতি পূর্ণিমার জোয়ারে এই এলাকার মানুষের দুর্গতি বেড়ে যায়। তারা ঘরহারা হয়ে পড়ে। সবকিছুর সমাধান হতে পারে একটি টেকসই বেড়িবাঁধ।'

আলী আকবার ডেইল এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা আব্দুল হাকিম বলেন, 'বেড়িবাঁধ না থাকাতে পূর্ণিমার জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট বেশি উঁচুতে প্রবাহিত হয়ে গ্রামে ঢুকে বসতভিটা ও পুকুর তলিয়ে গেছে। এতে অনেক পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে।'

Comments

The Daily Star  | English
Sundarbans fire: Under control, not entirely doused yet

Sundarbans: All fires in 23 years were confined to only 5pc area

All fires in the Sundarbans over the last 23 years took place in just five percent area of the mangrove forest under the east forest division, said officials concerned.

19h ago