অবশেষে ধরা পড়েছে সেই কুমিরটি
ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের জলিল মোল্লার ডাঙ্গী গ্রামে একটি জলাধারে অবস্থান করা মিঠা পানির কুমিরটি অবশেষে ধরা পড়েছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয়রা জাল দিয়ে কুমিরটিকে আটক করে। পরে, বিকাল ৪টার দিকে কুমিরটিকে পানি থেকে ডাঙ্গায় তোলা হয়।
নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান কুমিরটি ধরা পড়ার বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এলাকাবাসীর কাছ থেকে কুমিরটি আটকের কথা জানতে পারি। বিষয়টি বন্য প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বিভাগীয় কর্মকর্তা নির্মল কুমার পালকে জানানো হয়েছে। তারা কুমিরটি তাদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।'
কুমিরটি প্রায় সাড়ে সাত ফুট লম্বা এবং ওজন প্রায় ৮০ কেজির মতো বলে জানান তিনি।
ফরিদপুর জেলা বন বিভাগীয় কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটওয়ারী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তিনি কুমিরটি ধরা পড়ার খবর জেনেছেন। তিনি খুলনার বন্য প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকেও বিষয়টি জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, দুপুর ১২টার দিকে ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা শাহজাহান মোল্লা পানির মধ্যে কিছু একটা তার হাঁসকে তাড়া করছে বলে দেখতে পান। কাছে গিয়ে তিনি দেখেন যে জলাধারে আটকে পড়া কুমিরটি তার হাঁসকে তাড়া করছে। এ সময় তিনি চিৎকার করলে স্থানীয়রা সেখানে জড়ো হয়। মানুষের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কুমিরটি পালানোর চেষ্টা করে এবং এক পর্যায়ে সবাই মিলে জাল দিয়ে কুমিরটিকে আটক করে।
গত ২৪ জুলাই সকালে ওই কুমিরটিকে চর এলাকার একটি জলাধারে দেখতে পায় এলাকাবাসী। এরপর ওই এলাকায় মাইকিং করে সবাইকে ওই জলাশয়ে না নামার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে সতর্ক করে একটি সাইনবোর্ডও স্থাপন করা হয় ওই জলাধারের পাড়ে।
গত ২৮ জুলাই ও ৩০ জুলাই বন্যপ্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের উদ্যোগে দুই দফা কুমিরটি উদ্ধারে অভিযান পরিচালিত হয়। কিন্তু, প্রথম দিন জাল ছোট থাকায় এবং দ্বিতীয় দিন তিন বার জালে আটকা পড়েও জাল ছিঁড়ে কুমিরটি বের হয়ে যায়।
Comments