বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

২ কোটি মানুষ নবায়নযোগ্য জ্বালানির আওতায় এসেছেন: নসরুল হামিদ

বর্তমানে দেশের ২ কোটি মানুষ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের আওতায় এসেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বর্তমানে দেশের ২ কোটি মানুষ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের আওতায় এসেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

গতকাল শনিবার রাতে ইন্টারন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি এজেন্সির (আইআরইএনএ) ১২তম অ্যাসেম্বলিতে এ কথা বলেন।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

তিনি বলেন, 'সীমিত সম্পদ নিয়েই বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ৬০ লাখের বেশি সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে গ্রিড নেটওয়ার্কের বাইরে ২ কোটির বেশি মানুষকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হয়েছে।'

'এ ছাড়াও, ২৬টি মিনিগ্রিডের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রিডমানের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'এখন ২ হাজারের বেশি সৌর সেচ ব্যবস্থা কাজ করছে যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ডিজেল খরচ কমিয়েছে। এখন পর্যন্ত, ২৩১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৮টি সোলার পার্ক গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।'

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, 'কৃষি বা অন্যান্য ব্যবহারের জন্য জমির প্রতিযোগিতামূলক চাহিদার কারণে বড় আকারে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা বাংলাদেশের জন্য বেশ দুষ্কর। ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্রযুক্তির সম্ভাবনা ও ছাদে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো বিকল্প ব্যবস্থা অন্বেষণ করা হচ্ছে।'

'সরকার ছাদে সোলারকে উৎসাহিত করতে নেট মিটারিং নির্দেশিকা চালু করেছে। নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য সৌরশক্তির পাশাপাশি বায়ুশক্তি, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও অন্যান্য পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির সম্ভাবনা অন্বেষণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৪৫ মেগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে,' যোগ করেন তিনি।

'বাংলাদেশ সরকার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ডাম্পিং সাইটে সাড়ে ৪২ মেগাওয়াট 'ওয়েস্ট টু এনার্জি' প্ল্যান্ট নির্মাণে চুক্তি সই করেছে। অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় পর্যায়ক্রমে একই রকম প্ল্যান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।'

'বৃহৎ আকারে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে সমুদ্রের দিকে নজর দেওয়ার সময় এসেছে। আইআরইএনএ উন্নয়নশীল দেশগুলোর সমুদ্রে বায়ুশক্তির সম্ভাব্যতা মূল্যায়ন করতে সহযোগিতা করলে দৃশ্যমান ফল পাওয়া যাবে।'

নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে 'মেম্বার ইন্টারভেশনস' সেশনে জিম্বাবুয়ে, কলোম্বিয়া, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, এল সালভাদর, বেলজিয়াম, নরওয়ে, উরুগুয়ে, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, গ্রিস, স্পেন, চীন, জাপান, সুইজারল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া, তুর্কমেনিস্তান, সার্বিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, সান মারিনো ও সৌদি আরবের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

Comments

The Daily Star  | English

Will there be any respite from inflation?

To many, especially salaried and fixed-income individuals, this means they will have no option but to find ways to cut expenditures to bear increased electricity bills.

5h ago