কে হবেন সুগার উত্তরসূরি

ফুমিও কিশিদা, তারো কোনো, সেইকো নোদা, সানাই তাকাইচি ও শিগেরু ইশিবা। ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্যগত কারণে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ায় পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান নির্বাচনে নিয়ে বেশ তোড়জোড় শুরু হয়েছে। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর জাপানের ক্ষমতাসীন দল  লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) দলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনে জয়ী নেতাই জাপানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন। কারণ, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে দলটির সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।

আর আগামী ১৭ অক্টোবর জাপানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর রাজনৈতিক অঙ্গন ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর আকস্মিকভাবে সুগা এই ঘোষণা দেন। তবে, চলতি মাসের শেষ নাগাদ দলের প্রধান নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।

ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান শরীক দল এলডিপি বর্তমানে সুগার উত্তরসূরি নির্বাচন নিয়ে ভাবছে। সুগার উত্তরসূরি নির্বাচনের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন আবে প্রশাসনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। ইতোমধ্যে তিনি তার এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করে তাদের সমর্থন কামনা করে দলীয় প্রধান নির্বাচনে নিজ বাসনার কথা জানান।

কিশিদা জোর দিয়েছেন করোনা মহামারি বিরুদ্ধে লড়াই ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে। তবে, কিশিদা মনে করেন, একাধিক প্রার্থী থাকলে বিভিন্ন বিতর্কের মাধ্যমে দলনেতা নির্বাচন করতে পারবে। এতে করে দলের ভিতরও গণতন্ত্র চর্চা হবে। কারণে, এলডিপি জনগণের দল ও একক বৃহত্তম দল। কাজেই দলের ভেতর গণতন্ত্র চর্চাটা জরুরি।

আবে প্রশাসনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমানে ভ্যাকসিন প্রদান সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী তারো কোনোর নামও শোনা যাচ্ছে বেশ জোরেশোরেই। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এখনো প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেননি। তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তিনিই পরবর্তী নেতা হবে যাচ্ছেন। দলের মধ্যেও তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

এ ছাড়া, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। তবে, তাকে বড় রকমের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। দলের ভেতরে তুলনামূলক ছোট একটি অংশের নেতা তিনি। তার প্রার্থিতার জন্যে দলের ভেতর থেকে ২০ জনের সম্মতি প্রয়োজন হবে। তা পেতে তাকে কঠিন লড়াই করতে হবে। এমনিতেই দলের ভেতরে প্রবীণ নেতাদের, বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও কিং মেকার খ্যাত অর্থমন্ত্রী তারো আসোর কাছে তার জনপ্রিয়তা কম।

নারী প্রার্থীদের মধ্যে সাবেক আভ্যন্তরীণ মন্ত্রী সেইকো নোদা ও সানাই তাকাইচির নাম শোনা যাচ্ছে। তবে, অত্যন্ত রক্ষণশীল দল এলডিপিতে নারী নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার নজির নেই এবং সেই সম্ভাবনাও কম।

তাই এই মুহূর্তে আগাম কিছু বলা যাচ্ছে না। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের প্রচারণা শুরু হবে এবং ২৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচন এবং একই দিনে ভোটগণনার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ফলে, ইয়োশিহিদে সুগার উত্তরসূরি নির্বাচনের সফলতা নিয়ে আগাম কিছু বলা যাচ্ছে না। তা জানতে নির্বাচনের দিনের অপেক্ষায় থাকতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladeshis worry amid US immigration crackdown

The United States has deported at least 31 Bangladeshis after President Donald Trump took a tough immigration policy.

6h ago