ই-জিপিতে দরপত্রের সংখ্যা ছাড়াল ৫ লাখ

ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমে আহ্বানকৃত দরপত্রের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়েছে। যার মোট মূল্য ৫ লাখ ১০ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা।
একে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এর সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) চালুকৃত ই-জিপি সিস্টেমের বড় সাফল্য বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আজ রোববার সিপিটিইউ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, সংকটময় কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যেও সচল ও স্বাভাবিক আছে ই-জিপি। সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা ই-জিপি হেল্পডেস্ক চালু আছে এতে করে ক্রয়কারী সংস্থা ও দরপত্রদাতাদের অংশগ্রহণে ই-জিপিতে দরপত্র আহ্বানে নতুন মাইলফলকে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
গত বছর ২২ জুলাই ই-জিপি সিস্টেমে দরপত্র আহ্বানের সংখ্যা ৪ লাখের মাইলফলক স্পর্শ করেছিল। এছাড়া ওইদিন ই-জিপিতে আহ্বান করা দরপত্রের মোট মূল্য দাঁড়ায় ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দেশে মোট ১৩৬৫টি সরকারি ক্রয়কারী সংস্থার মধ্যে ১৩৬২টি ই-জিপি সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। আর ই-জিপিতে নিবন্ধিত দরদাতার সংখ্যা ৮৮,২৯৪। ক্রয়কারী সংস্থা ও দরপত্রদাতা উভয় পক্ষই তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক এই সেবার সুফল পাচ্ছে। এর মাধ্যমে ভোগান্তি কমে দরপত্র প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত হওয়ার পাশাপাশি সময় ও অর্থেরও ব্যাপক সাশ্রয় হচ্ছে। সরকারি ক্রয় ডিজিটাইজিং এর ক্ষেত্রে সহায়তা দিয়ে আসছে বিশ্বব্যাংক।
বর্তমানে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মূসচির (এডিপি) প্রায় ৮৫ শতাংশ এবং জাতীয় বাজেটের প্রায় ৪৫ শতাংশ অর্থ সরকারি ক্রয়ে ব্যয় হয়।
সরকারি সেবা ডিজিটাইজেশনের অংশ হিসেবে ২০১১ সালের ২ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-জিপির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ওই বছরই চারটি বড় ক্রয়কারী সংস্থায় পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইন টেন্ডারিং চালু হয়। পরীক্ষামূলক অনলাইন টেন্ডারিংয়ে সফলতা অর্জনের পর ২০১২ সাল থেকে সরকারি বিভিন্ন ক্রয়কারী সংস্থা সিপিটিইউর উদ্ভাবিত ই-জিপি বাস্তবায়ন শুরু করে।
Comments