পূর্বাচলে ২৬ একর জমিতে বাণিজ্য মেলার ভেন্যু উদ্বোধন
আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হলো রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী সেন্টারের। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাসহ বিভিন্ন পণ্য ও সেবাভিত্তিক মেলার স্থায়ী ভেন্যু হিসেবে বছরব্যাপী ব্যবহার হবে এই সেন্টার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এর উদ্বোধন করেন।
সেন্টারটির নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৭৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীন সরকারের অনুদান ছিল ৫২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে ২৩১ কোটি এবং ইপিবি অর্থায়ন করেছে ২১ কোটি ২৭ লাখ টাকা। প্রতিবছর এখানেই অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। এক্সিবিশন সেন্টারটি রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মালিকানায় থাকবে।
পূর্বাচল নতুন শহরে ২৬ একরের বেশি জায়গায় প্রদর্শনী সেন্টারটি তৈরি করা হয়েছে। এর ফ্লোরের আয়তন ৩৩ হাজার বর্গমিটার। স্টল আছে ৮০০টি। দোতলা পার্কিং বিল্ডিংয়ে পার্কিং স্পেস ৭ হাজার ৯১২ বর্গমিটার।
প্রদর্শনী সেন্টারে ৪৭৩ আসন বিশিষ্ট একটি মাল্টি ফাংশনাল হল, ৫০ আসনের কনফারেন্স কক্ষ, ৬টি নেগোসিয়েশন মিটিং রুম, ৫০০ আসনের রেস্তোরাঁ, শিশুদের খেলার জায়গা, নামাজের রুম, ২টি অফিস, মেডিক্যাল বুথ, গেস্ট রুম, ১৩৯টি টয়লেট, বিল্ট-ইন পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম, নিজস্ব ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, স্টোর রুম, সিসিটিভি কন্ট্রোল রুম, অটোমেটেড সেন্ট্রাল এসি সিস্টেম, ইনবিল্ট ইন্টারনেট, ওয়াইফাই, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, ইন-বিল্ট পতাকা স্ট্যান্ড এবং ইলেকট্রনিক প্রবেশপথ রয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানান, প্রদর্শনী সেন্টার নির্মাণের উদ্দেশ্য হচ্ছে-বাংলাদেশের বাণিজ্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে দেশি-বিদেশি পণ্য উৎপাদনকারী ও ক্রেতাদের আন্তর্জাতিক মানের একটি কমন প্লাটফর্মে যোগাযোগের সুযোগ করে দেওয়া। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই সেন্টার প্রতিযোগিতার সুযোগ তৈরি করে পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি ও বৈচিত্র্য আনতে সহায়তা করবে।
Comments