দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লি জায়ে মিউং ও ইউন সুক ইওল

লি জায়ে মিউং এবং ইউন সুক ইওল। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আজ বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে। নির্বাচনে লড়ছেন উদারপন্থী ও বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অব কোরিয়ার লি জায়ে মিউং এবং তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী রক্ষণশীল দল পিপল পাওয়ার পার্টির ইউন সুক ইওল।

দেশটিতে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের তাণ্ডব এখনো চলমান। গতকাল নতুন করে ১ হাজার ৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১৮৬ জন মারা গেছেন। তা সত্ত্বেও নির্বাচন নিয়ে সেখানকার মানুষের উৎসাহের কমতি নেই।

দ্য কোরিয়া হেরাল্ডের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সকাল থেকেই স্কুল, কমিউনিটি সেন্টার ও অন্যান্য ভোটকেন্দ্রের সামনে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে।

বিমা প্রতিষ্ঠানের কর্মী গং হিউন-বিন (৪১) বলেন, 'আমি দেশের নতুন নেতার পক্ষে ভোট দিতে এসেছি, যিনি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার করবেন। করোনাভাইরাস মহামারি আমাদের দেখিয়েছে একজন যোগ্য রাষ্ট্রনেতা থাকার গুরুত্ব কতখানি।'

মোট ১৪ হাজার ৪৬৪টি ভোটকেন্দ্রে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। করোনায় আক্রান্ত ও কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিরা সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন।

ইতোমধ্যে ৩৭ শতাংশ ভোটার ৪ ও ৫ মার্চ প্রাক-ভোটগ্রহণ পর্যায়ে ভোট দিয়েছেন। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রথম এ পদ্ধতিতে ভোট নেওয়া হয়।

প্রায় ৪ কোটি ৪৪ লাখ ভোটার প্রাক-ভোটগ্রহণ পর্যায়ে ভোট দিয়েছেন। উল্লেখিত ২ দিন দেশটির ৩ হাজার ৫৫২টি ভোটকেন্দ্র সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের জন্য খোলা ছিল।

দক্ষিণ কোরিয়ার নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, নির্বাচনের ৬ দিন আগে থেকে (গত বৃহস্পতিবার) নির্বাচনের ফলাফল সংক্রান্ত কোনো জরিপ পরিচালনা করা বা ফল প্রকাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকে।

তবে ৩ মার্চ প্রকাশিত সর্বশেষ জরিপের ফল অনুযায়ী, ইউন তার প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে সামান্য এগিয়ে আছেন।

তবে উভয় পক্ষ স্বীকার করেছে, চূড়ান্ত ফল বেশ ভিন্ন হতে পারে, কারণ তরুণ প্রজন্মের অনেক ভোটার শেষ মুহূর্তে তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারেন।

এ ছাড়াও, সর্বশেষ জরিপগুলোতে তৃতীয় প্রতিপক্ষ আন চিওল-সুকে বিবেচনায় ধরা হয়েছে, যিনি শেষ মুহূর্তে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে ইউনের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন।

সে ক্ষেত্রে ধরে নেওয়া যায় যে, চিওল-সুর কিছু ভোট ইউনের কাছে চলে যাবে।

তবে ভোটগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছুই নিশ্চিত না বলে মত প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।

Comments

The Daily Star  | English

Life insurers mired in irregularities

One-fourth of the life insurance firms in the country are plagued with financial irregularities and mismanagement that have put the entire industry in danger.

7h ago