ভারত

আসাম দিয়ে মাসে ১ হাজার কোটি রুপির গবাদিপশু বাংলাদেশে পাচার হয়: বিএসএফ

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত ৪ হাজার কিলোমিটারের বেশি এবং শুধু আসামের সঙ্গেই প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রতি বছর এই সীমান্ত দিয়ে প্রায় ১০ লাখ গবাদিপশু পাচার হয় বলে দাবি করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত ৪ হাজার কিলোমিটারের বেশি এবং শুধু আসামের সঙ্গেই প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রতি বছর এই সীমান্ত দিয়ে প্রায় ১০ লাখ গবাদিপশু পাচার হয় বলে দাবি করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

বিএসএফ'র অফিসিয়াল প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আজ সোমবার ভারতের সংবাদমাধ্যম এপিএন নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।

বিএসএফ জানায়, শুধু আসাম সীমান্ত দিয়েই প্রতি মাসে গড়ে ১ হাজার কোটি রুপির গবাদিপশু বাংলাদেশে পাচার হয়। এ ছাড়া, প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি রুপির গরু পাচার হয় এবং পাচারকারীরা এ কাজে আসামের সীমান্ত ব্যবহার করেন।

তবে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী আশা করছে, এ ধরনের চোরাচালান শিগগির বন্ধ হবে। বিবৃতিতে বিএসএফ জানিয়েছে, ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমন ও আন্তর্জাতিক সীমান্তের উন্নত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে সহযোগিতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিএসএফ'র মহাপরিদর্শক ও বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) আঞ্চলিক কমান্ডারদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথাও বিএসএফ'র বিবৃতিতে জানানো হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কার্যকর সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে সীমান্ত অপরাধ দমনের জন্য সমগ্র এলাকায় তথ্য আদান-প্রদান প্রক্রিয়া আরও জোরদারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

আন্তঃসীমান্ত অপরাধ কমাতে উভয় পক্ষই একে অপরের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে। এ ছাড়াও, উভয় পক্ষ নিজ নিজ এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্প নির্মাণে সম্মত হয়েছে।

তারা আরও জানায়, আস্থা পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ এই ২ বাহিনীর মধ্যকার বোঝাপড়ার উন্নতি করেছে। পশ্চিমবঙ্গের বিহার সীমান্তে ২ বাংলাদেশি নিহত হওয়ার কয়েকদিন পর বিএসএফ'র আইজি ও বিজিবি'র আঞ্চলিক কমান্ডারের মধ্যে বৈঠক হয়। বিএসএফ গরু চোরাচালান বন্ধ করতে গেলে এই ২ বাংলাদেশি নিহত হন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিএসএফ'র ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল অনুরাগ গর্গ। সেসময় উভয় পক্ষই সীমান্ত ব্যবস্থাপনার সময় কম প্রাণঘাতী পদ্ধতি অবলম্বন নিয়ে আলোচনা করে।

বিজিবি'র ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল বিএসএফ'র সঙ্গে ৩ দিনের সীমান্ত সমন্বয় সম্মেলনে যোগ দিতে গত শনিবার আমপালিংয়ে মেঘালয় ফ্রন্টিয়ারের সদরদপ্তরে পৌঁছায়।

আজ সোমবার ২ পক্ষই সম্মেলনের শেষ দিনের আলোচনার যৌথ রেকর্ডে স্বাক্ষর করবে। বিজিবি'র প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে আছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক তানভীর গনি চৌধুরী।

অপরদিকে, বিএসএফ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল সুশান্ত কুমার নাথ। ভারতীয় দলে মেঘালয়, গুয়াহাটি, শিলচর ও ত্রিপুরা বিএসএফ'র ১১ জন কমান্ডার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এনসিবি'র প্রতিনিধিরাও আছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Will there be any respite from inflation?

To many, especially salaried and fixed-income individuals, this means they will have no option but to find ways to cut expenditures to bear increased electricity bills.

7h ago