এশিয়া

মিয়ানমারে বিদ্যুৎ বিল বয়কট, লোড শেডিংয়ে ভেঙে পড়ছে স্বাস্থ্যসেবা

মিয়ানমারে সেনা শাসনের বিরোধিতার অংশ হিসেবে দেশটির শহরাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিল বয়কটের কারণে ঘন ঘন বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
ছবি: রয়টার্স

মিয়ানমারে সেনা শাসনের বিরোধিতার অংশ হিসেবে দেশটির শহরাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিল বয়কটের কারণে ঘন ঘন বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ছেন সেখানকার বাসিন্দারা।

আজ রোববার নিক্কেই এশিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মিয়ানমারের স্বাস্থ্য পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত দেশটিতে ঘন ঘন লোড শেডিং হওয়ায় চরম হুমকিতে পড়েছে সেখানকার জনস্বাস্থ্য পরিষেবা।

সেনা অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করে মিয়ানমারে চলমান অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে অনেকে বিদ্যুৎ বিল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।

নিক্কেই এশিয়া ও অর্থনীতিবিদদের সংগঠন ইন্ডিপেনডেন্ট ইকোনমিস্ট ফর মিয়ানমারের (আইইএম) তথ্য মতে, গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটির বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব আয় ৯০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে।

দেশটির সরকারি হাসপাতালগুলো লোড শেডিংয়ে পড়ার কারণে সেখানে প্রায় সার্বক্ষণিক জেনারেটর চালাতে হচ্ছে। কিন্তু, মিয়ানমারে জ্বালানি তেলের দামও ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে।

সংবাদ প্রতিবেদন মতে, সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের পর সেখানকার বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় 'বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো সচল রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনেও সরকার সহযোগিতা করতে পারছে না। বিদ্যুতের দাম ও সরবরাহও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না।'

অভ্যুত্থানের কারণে বিদ্যুৎ খাতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করা যায়নি। যেমন: ডিজিটাল মিটার বসানো, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের আগে সতর্কতা দেওয়া, বিদ্যুৎ সরবরাহ নির্বিঘ্ন করা, সংযোগ বাড়ানো ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে জোর দেওয়া ইত্যাদি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কারণে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত চার হাজার ৫৮ জন সামরিক স্টাফকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের অধিকাংশই বিল সংগ্রহ ও কারিগরি সহযোগিতা দিতেন।

সেনাদের ক্ষমতা দখলের আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে কর্মী ছিলেন প্রায় ৫০ হাজার। এই চার হাজারের বেশি কর্মীকে বরখাস্ত করায় এর প্রভাব মন্ত্রণালয়ে পড়েছে।

আইইএম জানিয়েছে, মিয়ানমারে গত মার্চে বিদ্যুৎ বিল গত জানুয়ারির তুলনায় ১০০ বিলিয়ন কিয়াত বা সাড়ে ৬০ মিলিয়ন ডলার কম সংগৃহীত হয়েছে।

বিল বয়কট চলমান থাকলে চলতি বছরে বিদ্যুৎ খাতে মন্ত্রণালয়টির ক্ষতি হবে দুই থেকে আড়াই ট্রিলিয়ন কিয়াত বা ১ দশমিক ২ বা দেড় বিলিয়ন ডলার। এটি মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় বার্ষিক রাজস্ব আয়ের ১০ শতাংশ।

Comments

The Daily Star  | English

Fire in Sundarbans: Water crisis likely to increase due to low tide in rivers

Coast guard, forest dept, police, local admin join fire service to douse the fire

7m ago